বিয়েতে অমত, প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে থানায় প্রেমিকা



গ্রামেরই এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তরুণীর। তারপর বিয়ের প্রতিশ্রুতি মিলতেই সহবাস সম্মত হয় তারা। কিন্তু বারবার বলা সত্ত্বেও আর বিয়েতে রাজি হচ্ছিল না প্রেমিক। বিয়েতে বেঁকে বসার পরিণত হল ভয়ঙ্কর।

প্রেমিককে উচিত শিক্ষা দিতে প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে থানায় হাজির হল প্রেমিকা। সোমবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাড়োয়ার খাড়ুবালার বকজুড়ি গ্রামে।
এই ঘটনায় তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আহত যুবককে ভর্তি করা হয়েছে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে।

হাড়োয়ার বকজুড়ি গ্রামের বাসিন্দা ওই তরুণী। একই গ্রামের এক যুবকের সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল তাঁর। উভয়েই গৃহশিক্ষকতা করত।

জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই তরুণী বিয়ের জন্য যুবককে চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু তাতে রাজি হননি যুবক। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনমালিন্য বাড়ছিল। এরপর সোমবার রাত দুটো নাগাদ ওই তরুণী ফোন করে যুবককে তার বাড়িতে ডাকে। তার আগেই বিয়ের সাজে সেজে নেয় ওই তরুণী। সে দাবি করে, তখনই বিয়ে করতে হবে। এই নিয়ে ওই যুগলের মধ্যে বচসা বাধে।
এরপরই ঘর থেকে ধারাল অস্ত্র বের করে প্রেমিককে আক্রমণ করে ওই তরুণী। যুবকের যৌনাঙ্গ কেটে দেয় তরুণী।

রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবক আর্ত চিৎকার  করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়েই অচেতন হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি তাঁকে হাড়োয়া প্রতিবেশীরা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখান থেকে কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।  এদিকে তরুণী প্রেমিকের কাটা যৌনাঙ্গ ও রক্তমাখা ভোজালি নিয়ে সটান থানায় হাজির হয়। পুলিশের কাছে ঘটনাবৃত্তান্ত জানায়।

তরুণীর অভিযোগ, ছোটবেলা থেকেই তাদের প্রেম ছিল। তারা লুকিয়ে বিয়েও করেছিল। এরপর বেশ কয়েকবার সহবাসও করে তারা। কিন্তু যুবক তাকে কিছুতেই স্ত্রীর মর্যাদা দিতে চাইছিল না। তাই বচসা চলাকালীন ধারালো অস্ত্র দিয়ে যৌনাঙ্গে কেটে নেয় রাগে।

যদিও এ কথা মানতে রাজি হয়নি যুবকের পরিবার। যুবকের পরিবারের তরফে অন্য অভিযোগ আনা হয়েছে।

যুবকের পরিবারের অভিযোগ, ‘‘সম্প্রতি উভয়ের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হয়ে গিয়েছিল।
ওই তরুণী অন্য এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল। তাই পরিকল্পনা করেই ওই তরুণী রাত-বিরেতে ডেকে হামলা চালায়। ওই তরুণীর পরিবারের সবাইয়েরই দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।’’

অভিযোগ উড়িয়ে তরুণীর দাদা বলেন,‘‘আমাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরাই যদি অন্যায় করব তা হলে কেন বোনকে নিয়ে না পালিয়ে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ?
আসলে শারীরিক সম্পর্ক করলেও ওই তরুণ কিছুতেই বোনকে স্ত্রী হিসাবে মেনে নিচ্ছিল না। সেই আক্রোশ বসত বোন এমন ঘটনা ঘটিয়েছে। ’’

গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে, তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment