রেল স্টেশন থেকে উদ্ধার ১১০০ কেজি কুকুরের মাংস, হোটেলে যা পাঁঠার মাংস বলে চালানো হত



চেন্নাইয়ের এগমোর রেলওয়ে প্লাটফর্মে শনিবার রেলের কামরা থেকে কয়েকজনকে মাংসের প্যাকেট নিয়ে নামেতে দেখে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স (RPF)। সন্দেহ হওয়ায় তাদের আটকে তল্লাশি করা হয়।

১১টি পলিথিনের বাক্সর ভিতর ভরে ১১০০ কেজি কুকুরের মাংসই অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেটা বুঝতে পেরেই পুলিশ অফিসারেরা গিয়ে তাদের ওই বাক্সগুলির তল্লাশি চালায় আর তার মধ্যে থেকে কুকুরের মাংস উদ্ধার হয়।

স্টেশনে যখন বাক্সগুলি আনা হয়, তা থেকে পচা গন্ধ বেরচ্ছিল। তখন ওই বাক্সগুলি খুলতে বলে পুলিশ।

খাদ্য ও চিকিত্‍সা দফতর এবং স্বাস্থ্য দফতরের অফিসারেরা পৌঁছন ঘটনাস্থলে ততক্ষণে যারা মাংসগুলি ট্রলিতে তুলছিল তারা অবস্থা বুঝে এলাকা থেকে চম্পট দেয়।

অফিসারেরা ওই মাংসগুলি পরীক্ষা করতে গিয়ে চমকে যান। মাংসগুলিতে কোনও রকম সিল করা ছিলনা। শুধু চামরা ছাড়ানো অবস্থায় সেগুলিকে প্যাকেটজাত করে নিয়ে আসা হয়েছে। ফুড সেফটি অফিসারেরা জানিয়েছেন এগুলি চেন্নাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। যেখানে এগুলিকে পাঁঠার মাংস বলে চালানো হতে পারে। যা কম পয়সায় কেনা যায়।



ঘটনার যে ছবি প্রকাশ পেয়েছে তাতে বোঝা যাচ্ছে এগুলি কুকুরের মাংসই। অথচ বাক্সের উপর লেখা রয়েছে, তার মধ্যে মাছ ও পাঁঠার মাংস রয়েছে।

কিন্তু কোথা থেকে এত মাংস আনা হল, কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা নিয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি তারা।

তবে মনে করা হচ্ছে শহরের রেস্তরাঁগুলিতে চালান দেওয়া হত। শুধু চেন্নাই নয়, কোচি, হায়দরাবাদ, মুম্বইয়ের মতো বড় শহরের রেস্তরাঁয় ওই মাংস নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে প্রাথমিক অনুমান। তবে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে বলে দপ্তর সূত্রে খবর।

ইতিমধ্যেই এই মাংসগুলির নমুনা সংগ্রহ করে মাদ্রাজ ভেটেরেনারি কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। সেখানেই চিহ্নিত করা হবে এগুলি কিসের মাংস।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment