ভারতের পারমাণবিক সাবমেরিন সফল, শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি




ভারতীয় প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে এক নয়া যুগ। স্থল ও আকাশে আগেই ভারত পরমাণু অস্ত্রে প্রত্যাঘাতে সফল ছিল এবার জলভাগেও পারমাণবিক অস্ত্র হামলার প্রত্যুত্তর দিতে প্রস্তুত ভারত। আইএনএস অরিহন্ত ভারতের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন। ভারতের প্রথম পারমাণবিক সাবমেরিন আইএনএস অরিহন্ত তার প্রথম গোপন প্রতিরোধমূলক টহলদারি সম্পূর্ণ করল।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন ''যাঁরা পরমাণু অস্ত্র  নিয়ে আমাদের ভয় দেখান, আইএনএস অরিহন্তের সাফল্য তাঁদের জন্য উপযুক্ত জবাব।'' অরিহন্তের সাফল্যের কথা ঘোষণা করে এমনটাই লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

আইএনএস আরিহান্টের প্রথম টহলদারি সম্পূর্ণ হওয়ায় এ বারের ধনতেরসের দিনে বিশেষ মাত্রা যোগ হল বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, ‘ভারতের গর্ব, পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন আইএনএস আরিহান্টের প্রতিরোধমূলক টহলদারির এক বছর পূর্ণ হল। আমাদের দেশের ইতিহাসে এই অবস্মরণীয় কৃতিত্বের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাই, বিশেষ করে আইএনএস আরিহান্টের ক্রুদের অভিনন্দন জানাই। আমাদের দেশের ইতিহাস চিরকাল এই মুহূর্তকে স্মরণে রাখবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, '‌যারা আমাদের সামরিক ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপকে নেতিবাচক করে তোলার প্রয়াসে ব্রতী ছিলেন, আইএনএস অরিহন্তকে আমরা আসলে তাঁদের মুখের মতো একটি জবাব বলে মনে করছি'। এই পারমাণবিক সাবমেরিনটি এতটাই শক্তিশালী যে, কোনও শহরকে ধ্বংস করার জন্য তা জলের গভীর থেকেই মিসাইল ছুঁড়তে পারবে। মিসাইল ছোঁড়ার পরেও এই সাবমেরিনটি ঠিক কোন স্থানে আছে, তা খুঁজে বের করতে বহু কাঠখড় পোড়াতে হবে। এছাড়া, পারমাণবিক বোমার আঘাতেও এই অতি শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক সাবমেরিনটির কোনও ক্ষতি হবে না।

ভারতীয় জলসীমার ভিতরে এবং আন্তর্জাতিক জলসীমার নানা অংশ ঘুরে অরিহন্ত ফিরে এসেছে নির্দিষ্ট বন্দরে। এই দীর্ঘ মহড়ায় সমুদ্রের তলা থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে প্রতিপক্ষের উপরে পরমাণু হামলা চালানোর মহড়াও অত্যন্ত সফল ভাবে সম্পন্ন করেছে নিউক্লিয়ার সাবমেরিনটি। দেশের তৈরি প্রথম পরমাণু শক্তিচালিত ডুবোজাহাজের এই সফল 'ডেটারেন্স পেট্রোল' মহড়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বলছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।

 ১৯৭১-এ ভারত-পাক যুদ্ধের পরই জলপথে পারমাণবিক সক্ষমতার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিল ভারত। প্রক্রিয়া শুরু হয় তখনই। অবশেষে ২০১৬ সালে শেষের দিকে প্রথম সেনার হাতে আসে। কিন্তু তখনও অনেকরকমের পরীক্ষানীরিক্ষা বাকি ছিল।

স্থল এবং আকাশ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা আগেই ছিল ভারতের। শুধু সমুদ্রগর্ভ থেকে পরমাণু হামলা চালানোর ক্ষমতা ভারতের ছিল না। প্রকৃত পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রের কাছে এই তিন সক্ষমতা থাকাই জরুরি। কারণ স্থলভাগে যে সব পরমাণু পরিকাঠামো রয়েছে, সেগুলিতে প্রতিপক্ষ হামলা চালাতে সক্ষম হলেও সমুদ্রের গভীরে লুকিয়ে থাকা পরমাণু অস্ত্রের ক্ষতি করা সম্ভব হয় না। 
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment