সাফল্য ইসরোর, GSLV Mk-III সফল উত্‍ক্ষেপণ, পথ খুলল মানব মহাকাশ অভিযানের



মহাকাশ গবেষণায় আরও একটি পালক জুড়ল ইসরো-র মুকুটে। বুধবার শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র থেকে সফলভাবে উত্‍ক্ষেপণ করা হল GSLV Mk-III মহাকাশযান।

সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে GSLV Mk-III নামে রকেট মহাকাশে পৌঁছে দিল সবথেকে ভারি কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট GSAT-29.

এই রকেটটি সংস্থাটির সব থেকে বেশি শক্তি সম্পন্ন যান। প্রায় চার টন ওজনের স্যাটেলাইট বহনে সক্ষম GSLV Mk-III রকেটটি। এদিন GSAT-29 নামের কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট নিয়ে উড়ান ভরে যানটি। এই কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ৩ হাজার ৪২৩ কিলোগ্রাম। দশ বছর ধরে কাজ করবে স্যাটেলাইটটি। ইসরো-র প্রধান কে শিবান জানান, এই উত্‍ক্ষেপণ দেশের পক্ষে অতি বড় মাইলস্টোন। চন্দ্রায়ন-২ অভিযানেও ব্যবহার করা হবে এই রকেটটি।

এই রকেটের সাফল্যে ইসরোর ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল হল। কারণ এই রকেটের মাধ্যমেই আগামিদিনে হবে দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অভিযান, চন্দ্রায়ন-২ ও গগণায়ন। অর্থাত্‍ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২২-এ মানুষ মহাকাশে যাবে। সেই অভিযানেই এই রকেট ব্যবহার করা হবে। তাই এই রকেটের সাফল্যে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তির হাওয়া ইসরো-তে।





GSAT-29 এই উপগ্রহটি জম্মু-কাশ্মীর এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের বহু দুর্গম অঞ্চলে  ইন্টারনেট ব্যবস্থা উন্নত করতে কাজে লাগানো হবে। চন্দ্রায়ন-২ অভিযানেও ব্যবহার করা হবে এই মহাকাশযানটি। এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসেই নিখুঁতভাবে দু'‌টি ব্রিটিশ স্যাটেলাইটকে কক্ষপথে স্থাপন করে নজির গড়েছিল ইসরোর পিএসএলভি-সি৪২ মহাকাশযান। এছাড়া চলতি বছরই একটি মানববাহী '‌স্পেস ক্যাপসুল'‌-এর সফলভাবে পরীক্ষা করেছিল ইসরো।

GSLV Mk-III রকেট তৈরিতে সময় লেগেছে ১৫ বছর। প্রত্যেকবার এটি লঞ্চ করতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ হবে। মহাকাশযানটি ৪৩ মিটার উঁচু ও প্রায় ১৩ তলা বাড়ির সমান। এছাড়া চলতি বছরই একটি মানববাহী '‌স্পেস ক্যাপসুল'‌-এর সফলভাবে পরীক্ষা করেছিল ইসরো। ‌

Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment