স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক, স্ত্রীয়ের সঙ্গে সঙ্গম! গুলি করে খুন বন্ধুকে



পলাশিপাড়া স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়া সন্দেহে বন্ধুকে শুটআউট কাণ্ডের তদন্তে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এল পুলিশের হাতে।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, শুধু সন্দেহ নয়, মৃত সুভাষ বিশ্বাসের সঙ্গে অভিযুক্ত বিভাস বিশ্বাসের স্ত্রীর বিবাহ-বর্হিভূত সম্পর্ক ছিল এবং গর্ভনিরোধক ওষুধের নাম করে যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে সঙ্গমে লিপ্ত হতেন সুভাষ।

বন্ধুর অনুপস্থিতিতে বন্ধুর স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন সুভাষ। সেই কারণে আগেও দুবার তাঁকে খুনের পরিকল্পনা করেছিল বিভাস। শেষপর্যন্ত সেই পরিকল্পনা সফল হয়নি।

রবিবার সাতসকালে বন্ধু সুভাষ বিশ্বাসকে গুলি করে খুন করে বিভাস বিশ্বাস। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক ছড়ায় নদিয়ার পলাশিপাড়ার বিডিও অফিস চত্বরে। অভিযুক্ত বিভাস বিশ্বাসের বাড়ি বিজয়নগরে। সিআরপিএফের জওয়ান ছিল সে।

পুলিশি জেরায় বিভাস স্বীকার করেছে এই খুনের পরিকল্পনার কথা। এবারও সে আগাম খুনের পরিকল্পনা করে। সেইমতো অভিন্ন হৃদয় বন্ধুকে চা দোকানে ঢুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করে বিভাস। পলাশিপাড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন সুভাষ। হঠাত্‍ তাঁর বন্ধু প্রাক্তন সিআরপিএফ জওয়ান বিভাস মণ্ডল সেখানে এসে উপস্থিত হয়। দোকানে ঢুকেই পকেট থেকে পিস্তল বের করে গুলি চালিয়ে দেয় সুভাষকে লক্ষ্য করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, সুভাষ ও বিভাসের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। এমনকী, শনিবার রাতে বন্ধুর সঙ্গে চড়ুইভাতিতেও শামিল হয়েছিলেন সুভাষ। রবিবার সকালে পলাশিপাড়ায় বিডিও অফিস চত্বরে একটি সারের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন সুভাষ। পায়ে হেঁটে ওই দোকানে আসে বিভাস। কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্ধুকে লক্ষ্য করে খুব কাছ থেকে গুলি চালিয়ে দেয় সে। ঘটনার আকস্মিকতায় হতবাক হয়ে যান সকলে। আতঙ্কে ছোটাছুটি করতে শুরু করেন অনেকেই।

শেষ পর্যন্ত রক্তাক্ত অবস্থায় সুভাষকে উদ্ধার করে পলাশিপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। কিন্তু তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্‍সক। এদিকে হইহট্টগোলের মাঝেই প্রথমে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত বিভাস মণ্ডল। তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে থানা লাগোয়া পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,  বিভাস সন্দেহ করত যে, সুভাষের সঙ্গে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কে জড়িয়েছে তার স্ত্রী। জেরাতে বিভাস স্বীকারও করেছে যে, সন্দেহের বসেই বন্ধুকে খুন করে সে।

পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে যে, বিভাসের সন্দেহ নিছক সন্দেহ ছিল না। তার স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিল প্রাণের বন্ধু সুভাষ। এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে অন্যান্য সবদিকই খতিয় দেখা হচ্ছে।

Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment