পুরোহিতের কুকীর্তি, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ধর্ষণ



মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে একলা পেয়ে মন্দিরের পিছনে নিয়ে গিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণের অভিযোগ উঠল পুরোহিতের বিরুদ্ধে।

বেহালা অজন্তা ওডিআরসি পুলিস কোয়ার্টারের পিছনেই রয়েছে একটি মন্দির।  মন্দিরে পৌরহিত্য করে উপেন্দ্র পাঠক।  মন্দিরের গা  লাগোয়া ১০ নম্বর বস্তি।  ওই বস্তিতেই বোনের সঙ্গে থাকেন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতী।

মানসিক সমস্যার কারণে স্বামীর ঘর করতে পারেননি। রোগ ধরা পড়ার পর স্বামী ওই যুবতীকে রেখে গিয়েছিলেন বাড়িতে। তারপর থেকে বাপের বাড়িতেই থাকেন তিনি। মন্দিরে একপাশে একটি পুকুর রয়েছে। যুবতীর পরিবারের দাবি, ওই পুকুরেই  রোজ দুপুরে স্নান করতে যান যুবতী। তখন এলাকা মোটামুটি  ফাঁকা থাকে।  অভিযোগ, পুরোহিতের  নজর তখনই যুবতীর ওপর পড়ে।

পরিবারের অভিযোগ, মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে একলা পেয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছেন অভিযুক্ত উপেন্দ্র পাঠক। ভয় দেখিয়েছেন, গোপন কথা ফাঁস হলে প্রাণে মেরে ফেলবেন। আর সেই ভয়েই কাউকে কিছু জানাননি যুবতী।

তবে একদিন যুবতীর ছোট বোন মন্দিরের পিছনে পুরোহিতের দিদিকে শাসানি দেওয়ার কথা শুনে নেয়। মন্দিরের পিছনেই ফিসফিসানির শব্দ কানে এসেছিল। উঁকি মারতেই দিদির সঙ্গে মন্দিরের পুরোহিতকে কথা বলতে শুনেছিলেন তিনি। কথা নয়, আদতে হুমকি দিচ্ছিলেন ওই পুরোহিত! ‘ফাঁস করলেই প্রাণ মেরে ফেলব’ মানসিক ভারসাম্যহীন যুবতীকে ঠিক এমনটাই শাসাচ্ছিলেন পুরোহিত।

দিদিকে চেপে ধরতেই সব কথা ফাঁস হয়ে যায়। তারপরই পর্ণশ্রী থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

পরিবারের দাবি, মন্দিরের পিছনের পুকুরে স্নান করতে যান যুবতী। সেটা দেখেই ফুঁসলিয়ে, ভয় দেখিয়ে যুবতীকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করেছে অভিযুক্ত পুরোহিত।

এই ঘটনা জানার পরে স্থানীয়রা চড়াও হয়। এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পুরোহিতকে ঘিরে ফেলে এলাকার মানুষ। পুরোহিতের ওপর চড়াও হন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযুক্ত পুরোহিতকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পর্ণশ্রী থানার পুলিস।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment