সক্রিয় হচ্ছে লস্কর-ই-তৈবা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হত্যার ছক কষছে লস্কর-ই-তইবার স্লিপার সেল। তাই কুখ্যাত জঙ্গি হাফিজ সইদের নির্দেশে এই জঙ্গি গোষ্ঠী নজর রাখছে প্রধানমন্ত্রী মোদির গতিবিধির ওপর।
এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য তুলে ধরেছে ইন্টালিজেন্স ব্যুরোর ইন্টারনাল সিকিওরিটি। কয়েকদিন আগেই পাঞ্জাবে জঙ্গি ঢুকে পড়েছে বলে দাবি করেছিল সে রাজ্যের পুলিস। বলা হয়েছিল তারা দিল্লির দিকে এগোচ্ছে।
এই জঙ্গি সংগঠনের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রীর ৭ লোক কল্যাণ মার্গ থেকে সাউথ ব্লক অফিসে যাতায়াতের ওপর নজর রাখছে। মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের নির্দেশেই এই হামলার ছক কষা হচ্ছে বলে এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরই ফের সুরক্ষা ব্যবস্থার দিকটি ভালো করে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গোয়েন্দাদের দাবি, দিল্লিতে ঢুকে পড়েছে লস্কর-ই-তৈবার স্লিপার সেল। রাজধানীর হাই সিকিউরিটি এলাকা ল্যুটিয়েন্স জোনে প্রধানমন্ত্রীর গতিবিধির ওপরে লক্ষ্য রাখছে লস্কর স্লিপার সেলের লোকজন। লস্করের ডেথ স্কোয়াডকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে হত্যা করার নির্দেশ দিয়েছে লস্কর প্রধান তথা মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ।
মুম্বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ জায়গা সম্পর্কে খবর দিতে বলা হয় হেডলিকে। সেভাবেই এবার কাজে লাগানো হয়েছে লস্করের স্লিপার সেলকে বলে খবর। আর তাই রাইসিনা হিলসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার আরও অনেক মন্ত্রীই লস্কর, জইশ এবং হিজবুলের টার্গেটে রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগে গত মে মাসে গুজরাটে দু'জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় গুজরাট এটিএস। উবেদ আহমেদ মির্জা এবং মহম্মদ কাশিম নামে ওই দুই যুবক আইএসের সদস্য বলে দাবি গুজরাট পুলিসের। তাদের দাবি স্নিপার রাইফেল দিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীকে খুনের ষড়যন্ত্র করেছিল। যা সম্ভবত রাশিয়া থেকে কেনা হয়েছিল।
২৬/১১ মুম্বি হামলার আগে ডেভিড কোলম্যান হেডলিকেও এই ধরণের নির্দেশ দিয়েছিল লস্কর-ই-তইবা। সরকারের সমস্ত স্ট্র্যাটেজিক লোকেশনে নজর রাখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মুম্বইয়ের এই স্লিপার এজেন্টকে।
শুধু লস্কর নয়, জইশ-ই-মহমম্দ, হিজবুল মুজাহিদিন জঙ্গি সংগঠন থেকেও প্রতিনিয়ত হুমকি আসছে বলে জানা যায়। চলতি বছরের মে মাসেই উবেদ আহমেদ মির্জা এবং মহম্মদ কাসিম স্টিমবারওয়ালা নামে দুই আইএসআইএস সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে গুজরাত অ্যান্টি-টেররিজম স্কোয়াড চার্জশিট ফাইল করে প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগে।

0 comments:
Post a Comment