যে এ কথা বিরোধীরা বলছিলেন এতদিন, এবার সেকথাই প্রতিধ্বনিত হল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর গলায়।
নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে ইমরান খান লেখেন, সত্য কখনও চাপা থাকে না। সর্বদাই সত্য প্রকাশ হয়ে পড়ে। এক্ষেত্রেও তা হয়েছে। আমাদের এফ-১৬ বিমান অক্ষত রয়েছে। এবং সংখ্যায় এখনও একই রয়েছে। একটিও এফ-১৬ কমেনি। এরপরই তিনি অভিযোগ করেন, ভারতের বর্তমান সরকার যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করে নির্বাচনে জয়লাভের প্রচেষ্টা করছে।
বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়, ভারতের প্রত্যাঘাতে পাকিস্তানের একটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান ধ্বংস হয়েছে। পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই ধ্বংসাবশেষ পড়েছে। কিন্তু, পাকিস্তান এফ-১৬ ধ্বংসের দাবি অস্বীকার করে। তাঁরা দাবি, করে ভারতে হামলার সময় কোনও এফ-১৬ ব্যবহারই করা হয়নি। ভারতীয় বায়ুসেনা সেই দাবি খারিজ করে এফ সিক্সটিন ধ্বংসের প্রমাণও দেয়।
সম্প্রতি মার্কিন ম্যাগাজিন 'ফরেন পলিসি'তে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন নতুন করে বিতর্ক উসকে দেয়। মার্কিন ম্যাগাজিনে দাবি করা হয়,
''মার্কিন প্রতিনিধিরা পাকিস্তানের হাতে থাকা প্রতিটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান গুনে দেখেছেন। এবং তাতে দেখা গিয়েছে পাকিস্তানের সবকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।''
পাকিস্তানের হাতে থাকা সমস্ত এফ-১৬ বিমান মজুত রয়েছে। অর্থাত্ ২৭ ফেব্রুয়ারি কোনও এফ-১৬ বিমান ধ্বংস হয়নি। পাকিস্তান পূর্বে এই দাবি করেছিল। তা বিশ্বাস করেনি মর্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফে প্রতিনিধি দল খতিয়ে দেখে পাকিস্তানের হাতে থাকা সমস্ত এফ-১৬ বিমান অক্ষত।
ইমরান খানের দাবি, মার্কিন ম্যাগাজিনের এই প্রতিবেদনই প্রমাণ করছে, ভারত মিথ্যাচার করেছে। বিজেপি যুদ্ধের আবহ তৈরি করে ভোটে জেতার চেষ্টা করছে। যা ব্যর্থ হবে।
শুক্রবার এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় পাল্টা বিবৃতি দিয়ে ভারতীয় বায়ুসেনা জানিয়ে দেয়, ওই দাবি সঠিক নয়। তাদের হানায় একটি এফ-১৬ বিমান ধ্বংস হয়ে যায়। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সবজ কোটের কাছে ওই এফ-১৬ বিমান ধ্বংস করা হয়। ওইদিনের পাকিস্তানি বায়ুসেনার রেডিও কমিউনিকেশন রিপোর্টও ভারতের কাছে আছে বলে দাবি করে সেনা।
ভারতের রাজনীতি নিয়ে ইমরান খান কেন মাথা ঘামাচ্ছেন তা অবশ্য বোধগম্য হচ্ছে না শাসক শিবিরের। তাঁরা বলছেন, এতেই বোঝা যাচ্ছে, মোদি ভোটে জিতুক চায় না পাকিস্তান।

0 comments:
Post a Comment