রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনজন, অনেকেই পাশ কাটিয়ে চলে গেল, প্রাণে বাঁচালেন BJP বিধায়ক


আগরা, ২৪ সেপ্টেম্বর : রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তিনজন। অনেকেই পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছিলেন। অন্যদের মতো তিনিও চলে যেতে পারতেন। কিন্তু, যাননি। আর যাননি বলেই হয়তো প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনজন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে নয়, মানুষ হিসেবে নিজের কর্তব্য পালন করে দৃষ্টান্ত গড়লেন BJP বিধায়ক মেজর সুনীল দত্ত দ্বিবেদী।


ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার সন্ধ্যাবেলায়। দুটি মোটরবাইক ও একটি সাইকেল দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। একে অপরকে ধাক্কা মারে তারা। তিনটি গাড়ির তিন সওয়ারি গুরুতর জখম হন। ফারুখাবাদ-ফতেগড়় রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন তাঁরা। সেসময় রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন সুনীল। সদরের বিধায়ক সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থামাতে বলেন। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে নিয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্তদের উদ্ধার করেন। গাড়িতে তুলে নেন তিনজনকে। এরপর নিয়ে যান লোহিয়া হাসপাতালে।



দ্বিবেদীর অনুগামীরা দু’জনকে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে নিয়ে যান। কাছাকাছি আর স্ট্রেচার ছিল না। কোনও উপায় না দেখে এক ব্যক্তিকে কাঁধে তুলে নেন বিধায়ক। সোজা হাঁটা দেন এমারজেন্সির দিকে।

পরে একটি সংবাদমাধ্যমকে সুনীল বলেন, “অন্য রোগীদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল স্ট্রেচারে। আমার কাছে কোনও উপায় ছিল না। মানুষটাকে প্রাণে বাঁচানো জরুরি। ও ব্যথায় কাতরাচ্ছিল। তাই, কাঁধে করে নিয়ে যাই।”

দুর্ঘটনাগ্রস্তদের চিহ্নিত করা গেছে। তাঁরা হলেন অরবিন্দ সিং চৌহান। বাড়ি নাগলা প্রিতম গ্রাম। ঋষভ, বাড়ি নাগলা দিন। রামেশ্বর সিং। রামেশ্বরের বাড়ি আবাস বিকাশ কলোনি। জানা গেছে, প্রথমে ঋষভের বাইক স্কিড করে অরবিন্দের সাইকেলে ধাক্কা মারে। পরে রামেশ্বর অন্য একটি বাইক নিয়ে আসছিলেন। তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঋষভকে ধাক্কা মারেন। তিনজনই রক্তাক্ত অবস্থায় বেশ কিছুক্ষণ মাটিতে পড়েছিলেন।

আপাতত তিনজনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। তিনজনের মধ্যে অরবিন্দকে নিজের কাঁধে চড়িয়ে নিয়ে এসেছিলেন বিধায়ক। বিধায়কের এহেন কাজে খুশি অরবিন্দ। বলেন, “আমি কৃতজ্ঞ। উনি আমাদের তিনজনকেই বাঁচালেন।”

Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment