শনিবার শিলিগুড়িতে পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, দার্জিলিঙের সাংসদ সুরিন্দ্র সিংহ অহলুওয়ালিয়া। এখানেই তিনি বলেন, ‘‘শিলিগুড়িতে মেট্রো ট্রান্সপোর্ট শুরু হোক। একটা ‘ওয়ার্কিং গ্রুপ’ করে সমীক্ষা করে কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হোক। আমি বিষয়টি নিয়ে নগরোন্নয়ন মন্ত্রকের সঙ্গে কথা বলব যাতে এই পরিষেবা লাগু করা যায়।’’
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাসে খুশি শিলিগুড়ির নাগরিকরা। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর মুখে মেট্রো প্রসঙ্গ নিয়ে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব। তাঁর কথায়, ‘‘এতদিন পরে সাংসদের মুখে এমন মন্তব্য শোনা গেল। বছর ঘুরলেই লোকসভা ভোট। তাই আরও অনেক কিছুই অনেকের মনে পড়বে।’’ তিনি এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান থাকার সময় ৫৫০ কোটি টাকার একটি মনোরেল চালুর সমীক্ষা রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল বলে দাবি করেন। তার পরেও কেন্দ্র কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে আক্ষেপ গৌতমবাবুর।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রস্তাব, শহরে মেট্রো চালু করতে হলে পুরসভাকে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গড়ে রিপোর্ট তৈরি করতে হবে। সেই প্রস্তাব নিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান অহলুওয়ালিয়া। তার পরেই মেট্রো চলাচল নিয়ে ছাড়পত্র এবং পরিকাঠামো খাতে বরাদ্দ মিলবে বলে আশা তাঁর। এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। ওই রিপোর্ট তৈরি হলে নগরোন্নয়ন এবং রেল মন্ত্রকে জমা দিতে বলেছেন।’’
যানজটের সমস্যায় প্রতিদিনই নাকাল হতে হয় বলে অভিযোগ শিলিগুড়িবাসীর। সম্প্রতি জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ শহরের বাতাসের স্বাস্থ্য নিয়ে আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। ক্রমাগত যানবাহনের সংখ্যা বাড়তে থাকার কারণেই দূষণ বাড়ছে বলে অভিযোগ পরিবেশপ্রেমীদের। তাঁদের দাবি, একদিকে যানজট সমস্যা মেটানো অন্যদিকে দূষণ নিয়ন্ত্রণ উভয়ের সমাধান শহরে মেট্রো চালু করা। শিলিগুড়ির বৃহত্তর নাগরিক সমিতির তরফে রতন বণিক বলেন, ‘‘উত্তর পূর্ব ভারতের অন্যতম বৃহৎ শহর শিলিগুড়িতে এখনই মেট্রো চালু করা প্রয়োজন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আশ্বাসে আমরা আশাবাদী।’’

0 comments:
Post a Comment