বিকৃত যৌনতার স্বাদ নিতে, প্রেমিকের যৌনাঙ্গ কেটে দিল প্রেমিকা



যৌন সম্পর্ক বিভিন্ন ধরণের হতে পারে৷ বিকৃত যৌনতার স্বাদ পেতে মানুষ কতখানি সীমা লঙ্ঘন করতে পারে? রাশিয়ার একটি ভয়ঙ্কর ঘটনাকে সামনে রেখে এই প্রশ্নগুলি উঠে আসে৷

কী হয়েছিল?

রাশিয়ার অধিবাসী ২১ বছরের আনাস্তেসিয়া ওনেজিনা৷ তার প্রেমিকের নাম ডিমিত্রি সিঙ্কেভিচ (২৪)৷ পেশায় প্রাক্তণ পুলিশ অফিসার এবং সশস্ত্র সৈনিক ডিমিত্রিকে নির্মমভাবে খুন করার অভিযোগ উঠেছে আনাস্তেসিয়ার বিরুদ্ধে৷ ঠিক কী ঘটেছিল আনাস্তেসিয়ার ওরইয়লের ফ্লাটে?

জানা গিয়েছে, নিজের ফ্লাটেই প্রথমে ডিমিত্রির শিরচ্ছেদ করে আনাস্তেসিয়া৷ তারপর রান্নাঘর থেকে একটি ছুরি নিয়ে একের পর এক অঙ্গচ্ছেদ করে সে৷ প্রথমে যৌনাঙ্গ তারপর হাত-পা, বেশ কয়েকটি হাতের আঙ্গুল এবং পায়ের আঙ্গুল কাটার পর নৃশংসভাবে তাকে কোপায়৷ কিন্তু এখানেই শেষ হয়নি আনাস্তেসিয়ার মানসিক বিকারগ্রস্ত কার্যকলাপ৷ প্রেমিকের বিচ্ছিন্ন অঙ্গগুলির কিছু বাইরে ডাস্টবিনে ফেলে দেয়৷ তারপর কিছু অঙ্গ ফ্রিজে সংরক্ষিত করে বাকি অঙ্গগুলি নিজের ফ্লাটের চারিদিকে ঝুলিয়ে রাখে সে৷

প্রেমিককে কোপানোর সময় আনাস্তেসিয়াকে ফোন করে তার বোন৷ সে কী করছে জিজ্ঞাসা করলে আনাস্তেসিয়া তাকে জানায় সে ডিমিত্রিকে কোপাচ্ছে৷ আনাস্তেসিয়ার স্বাবলীল স্বরে এই উত্তর শুনে ঘাবড়ে যায় তার বোন৷ সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেয় সে৷ পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ‘বিডিএসএম’ স্টাইলে যৌন খেলার সময় শ্বাসরোধ হয়ে ডিমিত্রির মৃত্যু হয়৷

অন্যদিকে এক প্রতিবেশী আনাস্তেসিয়ার ফ্লাটের ভিতরের ভয়ঙ্কর দৃশ্যের বিবরণ দেন৷ তিনি বলেন,‘‘আমি ফ্লাটের ভিতরটা দেখতে পাই৷ ডিমিত্রির শরীরের মাংস হুক থেকে ঝুলছিল৷ হাত ও পা ডাস্টবিনে এবং পেটের নাড়িভুড়ি একটি প্যাকেটে করে ফ্রিজে রাখা ছিল৷ একাধিক আঙ্গুল ফ্লাটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়ানো ছিল৷’’ ওই প্রতিবেশী সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই প্রেমিক যুগল ‘অকাল্টিসম’ এবং ‘বিডিএসএম’-এর ভক্ত ছিল৷ পাশাপাশি তাদের সোশ্যাল মিডিয়া ‘সাটানিস্ট অর্গি’-তে ভরপুর৷ এবিষয়ে তদন্ত করে পুলিশ জানতে পারে, সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ‘সাটানিস্ট গ্রুপ’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিল ডিমিত্রি৷ পাশাপাশি শয়তান বা ডেভিল সম্পর্কিত ছবিও পোষ্ট করত সে৷

কেন এই নৃশংসতা?

জানা গিয়েছে, অতীতে একবার বিয়ে হয়েছিল আনাস্তেসিয়ার৷ কিন্তু বিয়ের পরেই তার স্বামী মারা যান৷ তার মৃত্যুর পর প্রায় দেড় বছর একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি ছিল সে৷

প্রথমে ডিমিত্রিকে খুন করার অভিযোগ স্বীকার করেনি আনাস্তেসিয়া৷ তার দাবি, সে ডিমিত্রিকে খুন করেনি৷ মৃতদেহটিকে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করার আগে মৃত অবস্থাতেই প্রেমিককে খুঁজে পেয়েছিল সে৷ কিন্তু জিজ্ঞাসাবাদের সময় অপরাধের কথা স্বীকার করে নিয়েছে আনাস্তেসিয়া৷ আদালত আনাস্তেসিয়ার মানসিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে৷ ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ৷
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment