পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকার থাকাকানীন এই পিএনবি দুর্নীতি হয়। ধরা পড়ল মোদী সরকার আমলে। সেই সময়ের ইউপিএ সরকার ইচ্ছে করলে এই দুর্নীতি রোধ করতে পারত, কিন্তু তারা করেনি। পিএনবি ব্যাঙ্কের এই দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেছে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের নিযুক্ত, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ডিরেক্টর দীনেশ দুবে।
তিনি এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, নীরব মোদীর জালিয়াতি শুরু হয় ২০১১-২০১৩ সালে ইউপিএ আমলেই। তৎকালীন ইউপিএ সরকারের প্রশ্রয়ে নীরব মোদীরা চুরি করে গিয়েছেন। যা এতদিন পরে এসে মোদী সরকার আমলে এসে ধরা পড়ল।
তিনি জানিয়েছে, ২০১৩ সালে নীরব মোদীর মামার সংস্থাকে ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব ওঠে এক সভায়। তখন দীনেশ দুবে ছিলেন ইউপিএ সরকারের নিযুক্ত এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর। ডিরেক্টর সেই সময় দাবি করেছিলেন তাঁরা আগের নেওয়া ঋণ ফেরত দিক, তারপর নতুন করে ঋণ দেবার বিষয়টি ভাবা যাবে। কোন সদস্য তাঁর কথা মেনে নেইনি। ফলে তাঁরা আবার ঋণ পায়। মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, বলেন ওই বৈঠকের আগের দিনই নীরব মোদীর বিপণীতে গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী।
পুরাতন ঋণ পরিষদ না করে, আবার নতুন ঋণ দেওয়ায়, দুবে তৎকালীন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ডেপুটি গভর্নর কেসি চক্রবতীকে চিঠি লিখে জানান। আর তার পরই ইউপিএ সরকারের তরফ থেকে, তাকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হতে থাকে। এই চিঠি লেখার পর তার কাছে ক্রমাগত হুমকি আসতে থাকে।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালে তৎকালীন ইউপিএ সরকারের পক্ষ থেকে দুবেকে এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ডিরেক্টর করা হয়। দুবে জানিয়েছেন, সেদিন আমার কথা শুনলে আজ এই দিন দেখতে হতনা। তিনি জানতেন এই ঘটনা অচিরেই বিরাট দুর্নীতির জন্ম নেবে। পিএনবি-র বর্তমান এমডি সেই সময় এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের জেনারেল ম্যানেজার ছিলেন।
দুবে জানিয়েছেন, সেই সময় সরকার আমাকে নিয়োগ করেছিলেন বাঙ্কে কোনওরকম দুর্নীতি হচ্ছে কি না, তা দেখার জন্য । যদি আমি তা না করতে পারি, তাহলে আমার সরে যাওয়াই উচিত। কিন্তু ইউপিএ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, শারীরিক অসুস্থার কারণ দেখিয়ে ইস্তফা দিতে হবে।
শেষ পর্যন্ত চাপে পড়ে তিনি পদত্যাগ করেন।
দেখুন ভিডিও .................

0 comments:
Post a Comment