স্কুলের শৌচালয়ে ছাত্রের রক্তাক্ত দেহ৷ শনিবারই নবম শ্রেণীর ছাত্র দেব তদভিকে খুন করা হয়৷
পুলিশি জেরায় অভিযুক্ত ছাত্রের স্বীকারোক্তি-
‘ শিক্ষিকার বকা থেকে বাঁচতে স্কুল ছুটির প্রয়োজন ছিল, স্কুল ছুটি করাতেই খুন করেছি’৷
১৬ বছরের স্কুল ছাত্রের এই অকোপট স্বীকারোক্তিতে হতবাক পুলিশ৷
শুধু ছুটি পেতে নবম শ্রেণীর তদভিকে কুপিয়ে খুন করে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র৷ কেন? শিক্ষিকাকে ভয় পেয়েই কি এই পদক্ষেপ? না কি মৃত তদভির সঙ্গে পারস্পরিক শত্রুতা ছিল?
জেরায় অভিযুক্ত ছাত্র জানায়,
হোমওয়ার্ক না করায় বকাঝকা করেন স্কুলের এক শিক্ষিকা৷ তারপর থেকেই স্কুলে আসতে চাইত না ওই ছাত্র৷
স্কুলের কেউ মারা গেলে ছুটি পাওয়া যায় তাই, কাউকে খুন করলেই ছুটি মিলবে৷ এই কথা ভেবেই বন্ধু তদভিকে নৃশংস ভাবে খুন করা হয়৷
ভদোদরা পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযুক্ত ছাত্র এতটাই তৎপর যে, ছুরি দিয়ে তদভির উপর হামলার আগে, গায়ের জামা খুলে নেয়৷ যাতে তার গায়ে কোনও রক্তের দাগ না লেগে থাকে৷ এরপরই তদভিকে কুপিয়ে খুন করা হয়৷ গোটা ঘটনা শৌচালয়ে থাকা অন্য ২ ছাত্র না দেখলে সত্য ঘটনা এত তাড়াতাড়ি সামনে আসত না৷ খুন করার পরই অভিযুক্ত ছাত্র নিজের আত্মীয়ের বাড়ি চলে যায়৷ অভিযুক্ত ছাত্র খুনের কথা নিজের বাবার কাছে স্বীকার করে৷ তারপরই ছেলেকে নিয়ে ভালসাদের বাস ধরেন ব্যক্তি৷ ততক্ষণে ২ ছাত্রের বয়ান পেয়ে যায় পুলিশ৷ ভালসাদে বাস থামলেই বাবা ও ছেলে পুলিশের জালে আসে৷
ছাত্র খুনের ঘটনায় ধোঁয়াশায় বেশ কিছু তথ্য৷ প্রশ্ন উঠছে, ১৬ বছরের ছাত্র ধারালো অস্ত্র কোথা থেকে পেল? ধারালো অস্ত্র নিয়ে স্কুলে কীভাবে ঢুকতে পারল? ফরেন্সিক রিপোর্ট অনুসারে, তদভিকে ১০ বার ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়৷ প্রচুর রক্ত বেরিয়ে যাওয়ায় প্রথম আঘাতেই মৃত্যু হয় তার৷ প্রশ্ন উঠছে, খুনের ঘটনায় কোথাও কি ছেলের বাবার প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে৷ শুধুই কি ছুটি পেতে হত্যা? না কিু তদভির উপর রাগ ছিল অভিযুক্ত ছাত্রের? নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে তদভির বাবা চায়ের দোকান চালান৷ ছেলের পড়াশুনার দায়িত্ব নেন তদভির কাকা৷ তদভির খুনি পুলিশের হাতে এলেও তদন্ত জারি রাখছে ভাদোদরা পুলিশ৷

0 comments:
Post a Comment