কারও চোখ বাঁধা। কারও আবার হাত। বেশ কয়েকটি দেহ ঝুলছে তারের একটা জালি থেকে। সব মিলিয়ে মৃতদেহের সংখ্যা ১১। যার মধ্যে সাত জনই মহিলা। ১১ জনের মধ্যে পাঁচ শিশু।
রবিবার সকালে দিল্লির বুরারি এলাকার একটি বাড়িতে এমন দৃশ্য দেখে হতবাক পুলিশের তাবড় অফিসাররাও। মৃতরা প্রত্যেকেই একই পরিবারের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। দেহগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
যদিও কী কারণে এই মৃত্যু, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ। এমনকী পাওয়া যায়নি কোনও সুইসাইড নোটও।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর কুড়ি ধরে বুরারি এলাকার ২৪ সন্ত নগরের দোতলা বাড়িতে থাকত ওই পরিবারটি। দুই ভাই ললিত এবং ভুবনেশ্বর তাঁদের পরিবার নিয়ে ওই বাড়িতে থাকতেন। সঙ্গে থাকতেন তাঁদের মা, এক বিধবা বোন। তাঁদের আসল বাড়ি রাজস্থানে। পারিবারিক মুদির দোকানের ব্যবসা রয়েছে ললিত-ভুবনেশ্বরদের। এ ছাড়াও বড় ভাই ললিতের একটি আসবাবের দোকানও ছিল। বাড়ির নীচেই তাঁর দোকান।
এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরে বন্ধ ছিল আসবাবের দোকানটি। দেখা যাচ্ছিল না ললিত বা ভুবনেশ্বরের পরিবারের কাউকেই। সন্দেহের বশে বেশ কয়েক জন জানালা দিয়ে ঘরের মধ্যে উঁকি দেন। তখনই তাঁরা ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত মৃত দেহ দেখতে পান। খবর দেওয়া হয় বুরারি পুলিশ স্টেশনে।
রবিবার সকালে খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। আসেন পুলিশের শীর্ষ কর্তারাও। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকেই মৃত দেহের সারি দেখতে পান তাঁরা।
Bodies of 7 women and 4 men including three teenagers have been found. We are investigating from all possible angles, we are not ruling out anything: Joint CP Delhi, on bodies of 11 people found at a house in Delhi's Burari pic.twitter.com/apdRPL5w8r
— ANI (@ANI) July 1, 2018
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুই ভাই এক সঙ্গেই থাকতেন। তাদের পরিবারে কোনও আর্থিক অস্বচ্ছলতা ছিল বলে কোনও দিনই মনে হয়নি। এমনকি, পারিবারিক দ্বন্দ্বের কোনও ঘটনাও শোনা যায়নি। পরিবারটি খুব মিশুকে ছিল বলেও জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা আরও জানিয়েছেন, বড় ভাই ললিতের এক সন্তান ছিল। ভুবনেশ্বরের ছিল তিনটি সন্তান।
পুলিশের তরফে শুধু জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। পাশাপাশি খুন না আত্মহত্যা সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

0 comments:
Post a Comment