লোকসভা ভোট দেশে সাত দফায়, পশ্চিমবঙ্গের কবে কোথায়, গণনা ২৩ মে


বেজে গেল ভোটের দামামা। লোকসভা ভোটের দিন ঘোষণা করলেন মুখ্যনির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা। গোটা দেশে মোট সাত দফায় লোকসভা ভোটের কথা ঘোষণা করলেন তিনি। ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হবে লোকসভা ভোট। প্রথম দফা ১১ এপ্রিল, দ্বিতীয় দফা ১৮ এপ্রিল, তৃতীয় দফা ২৩ এপ্রিল, চতুর্থ দফা ২৯ এপ্রিল, পঞ্চম দফা ৬ মে, ষষ্ঠ দফা ১২ মে, সপ্তম দফা ১৯ মে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সাত দফায়।  ২৩ মে সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা।


২০১৯ সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের সূচী পশ্চিমবঙ্গে:-

প্রথম দফায় ভোট ১১ এপ্রিল 

২টি আসনে ভোট
১-আলিপুরদুয়ার
২-কোচবিহার

২য় দফায় ভোট ১৮ এপ্রিল 

৩টি আসনে ভোট
১-দার্জিলিং
২-রায়গঞ্জ
৩-জলপাইগুড়ি

৩য় দফায় ভোট ২৩ এপ্রিল 

৫টি আসনে
১-মালদা উত্তর
২-মালদা দক্ষিণ
৩-বালুরঘাট
৪-মুর্শিদাবাদ
৫-জঙ্গিপুর

৪র্থ দফায় ভোট ২৯ এপ্রিল 

৮টি আসনে
১-কৃষ্ণনগর
২-রাণাঘাট
৩-বর্ধমান পূর্ব
৪- বর্ধমান দূর্গাপুর
৫-আসানশোল
৬-বহরমপুর
৭-বোলপুর
৮- বহরমপুর

৫ম দফায় ভোট ৬ মে 

৭টি আসনে
১-বনগাঁ
২-ব্যারাকপুর
৩-আরামবাগ
৪-হাওড়া
৫-উলুবেড়িয়া
৬-শ্রীরামপুর
৭-হুগলি


৬ষ্ঠ দফায় ভোট ১২ মে 

৮টি আসনে
১- ঘাটাল
২- ঝাড়গ্রাম
৩-বিষ্ণুপুর
৪-বাঁকুড়া
৫-মেদিনীপুর
৬-পুরুলিয়া
৭-তমলুক
৮-কাঁথি

৭ম দফায় ভোট ১৯ মে 

৯টি আসনে ভোট
১- দমদম
২-বারাসত
৩-বসিরহাট
৪-যাদবপুর
৫-কলকাতা দক্ষিণ
৬-কলকাতা উত্তর
৭-জয়নগর
৮-মথুরাপুর
৯-ডায়মন্ডহারবার


গোটা দেশের সাত দফায় ভোটের মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে ২০ টি রাজ্যে(‌ ৯১টি কেন্দ্র)‌, দ্বিতীয় দফায় ভোট ১৩ টি রাজ্যে (‌৯৭টি কেন্দ্র)‌, তৃতীয় দফা ১৪ টি রাজ্যে(‌১১৫টি কেন্দ্র)‌, চতুর্থ দফা ৯টি রাজ্যে(‌৭১টি কেন্দ্র)‌, পঞ্চম দফা ৭টি রাজ্যে (‌৫১টি কেন্দ্র)‌,ষষ্ঠ দফা ৭টি রাজ্য (‌৫৯টি কেন্দ্র)‌, সপ্তম দফায় ৮টি রাজ্যে(‌৫৯টি কেন্দ্র)‌।

একদফায় ভোট হবে অরুণাচল, অন্ধ্রপ্রদেশ, গোয়া, গুজরাট, হরিয়ানা, হিমাচল প্রদেশ, কেরল, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, পাঞ্জাব, সিকিম, তেলঙ্গানা, তামিলনাড়ু, উত্তরাখণ্ড, আন্দামান নিকোবর, দাদরা নগর হাভেলি, দমন দিউ। দুই দফায় ভোট হবে কর্নাটক, মণিপুর, রাজস্থান এবং ত্রিপুরায়। তিন দফায় ভোট হবে অসম ও ছত্তিশগড়ে। চার দফায় ফোট হবে ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশে। পাঁচ দফায় ভোট হবে জম্মু ও কাশ্মীরে।

ভোটের দিন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে গোটা দেশে আজ থেকেই জারি হয়ে গেল আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি। কমিশন জানিয়েছে, মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া শুরু হবে ১৮ মার্চ থেকে ।

মনোনয়ন জমার শেষ দিন ২৬ মার্চ। এছাড়া নির্বাচনের সময়েও ভোটেরদের আদর্শ পরিবেশ বজায় রাখে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কমিশন।সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারের খরচও এবার নির্বাচনী খরচ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। তার হিসেবও প্রার্থীদের কমিশনকে দিতে হবে। সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট করতে বদ্ধ পরিকর নির্বাচন কমিশন সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানিয়েছেন সুনীল অরোরা। মোট ৯০ কোটি ভোটার এবার ভোট দেবেন। তার মধ্যে দেড়কোটি নতুন ভোটার। সব পোলিং স্টেশনেই থাকবে ভি ভি প্যাড। ভোটাররা যাতে সরাসরি অভিযোগ জানাতে পারেন তার জন্য ১৯৫০ নম্বর চালু করা হয়েছে। কোথাও কোনও অসঙ্গতি নজরে পড়লে তাসরাসরি ভিডিও করেও অভিযোগ জানাতে পারবেন ভোটাররা, চাইলে গোপণ রাখতে পারবেন পরিচয়। অভিযোগ জানানোর ১০০ মিনিটের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। ভোটারদের যাতে ভোট দিতেকোনও অসুবিধা না হয় সেকারণে ইভিএমে প্রার্থীদের ছবি থাকবে। ইভিএম যাতে স্থানান্তরিত না করা যায়, সেকারণে জিপিএস ট্র্যাকার লাগানো থাকবে প্রতিটি মেশিনে।

প্রচারে বিজেপি সবসময় এগিয়ে থাকে। আর প্রচারে নরেন্দ্র মোদীকে টেক্কা দেওয়ার মতো নেতা ভারতে খুব বেশি কেউ নেই। এদিন একদিকে ভোটের নির্ঘণ্ট যখন ঘোষণা হচ্ছে, তার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার শুরু করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একদিকে কমিশনের ঘোষণা চলল, পাশাপাশি টুইটারে মোদী একদিকে যেমন দেশবাসী ও রাজনৈতিক দলগুলিকে শুভেচ্ছা জানালেন, তেমনই তাঁর সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন।

মোদী বলছেন, আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাচ্ছি যাতে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সাফল্যের সঙ্গে যোগদান করেন। আশা করছি এবারের নির্বাচনে ঐতিহাসিক ভোটদানের হার দেখা যাবে।

নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। যাঁরা রাস্তায় নেমে কাজ করবেন, সারা দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনা করবেন, তাঁদের শুভেচ্ছা জানাই। ভারত নির্বাচন কমিশনকে নিয়ে গর্বিত। যেখানে বছরের পর বছর ধরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করছে তার তুলনা হয় না।

রাজনৈতিক বক্তব্য রেখে মোদী লেখেন, ২০১৪ সালে সারা দেশ ইউপিএ-কে বাদ দিয়েছিল। ইউপিএ সরকারের দুর্নীতি, স্বজনপোষণ, নীতি পঙ্গুত্ব নিয়ে চূড়ান্ত রাগ ছিল। ভারতবর্ষের আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছিল। দেশ এমন সরকার থেকে মুক্তি চেয়েছিল।

গত পাঁচ বছরে ১৩০ কোটি ভারতবাসীর আশীর্বাদ পেয়েছি আমরা। আগে সেটা সম্ভব ছিল না। তবে এখন তা সম্ভব। ২০১৯ সালের নির্বাচনে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই সকলে যোগদান করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন নরেন্দ্র মোদী।

ভারত এখন বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতলয়ে বেড়ে চলা অর্থনীতির দেশ। সন্ত্রাসবাদ নিয়ে চরম পদক্ষেপ নিতে পারে। দেশে দ্রুতলয়ে দারিদ্র দূরীকরণ হচ্ছে। ভারত স্বচ্ছ হচ্ছে। দুর্নীতি মুক্ত করে দুর্নীতিবাজদের সাজা দিচ্ছে। সার্বিক উন্নতির দিকে এগোচ্ছে।

সবকা সাথ, সবকা বিকাশের মাধ্যমে এনডিএ সরকার ফের একবার সকলের আশীর্বাদ চাইছে। গত পাঁচ বছরে মৌলিক প্রয়োজনকে মেটানোর চেষ্টা করেছে সরকার যা ৭০ বছর অধরা ছিল। এখন সময় এসেছে দেশকে সুরক্ষিত ও শক্তিশালীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment