উচ্চবর্ণের দরিদ্র মানুষদের জন্য সংরক্ষণ, ঘোষণা করল মোদী সরকার



বড় সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার। উচ্চবর্ণের দরিদ্র মানুষদের জন্য সংরক্ষণের কথা ঘোষণা করল কেন্দ্র। সংবিধান সংশোধন করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় তার অনুমোদন করিয়েও নেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সোমবার এই প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে। বলা হয়েছে, উচ্চবর্ণের জন্য শিক্ষা এবং সরকারি চাকরিতে ১০ শতাংশ আসন সংরক্ষিত থাকবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া, সাধারণ শ্রেণির যে কেউ এই সুবিধার আওতায় পড়বেন।

কিন্তু দুটি শর্ত, আপনার বার্ষিক আয় হতে হবে ৮ লক্ষ টাকার নিচে। অন্যদিকে, কৃষিজমির পরিমাণ ৫ একরের কম। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে বিস্তর রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গিয়েছে। সরকার পক্ষ বলছে, এই ঘোষণা জনগণের দাবি মেনে, এর সঙ্গে নির্বাচনের কোনও সম্পর্ক নেই।

আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া হিসেবে যাদের ধরা হচ্ছে। তাদের মধ্যে স্থান পাবেন ভারতের প্রায় অধিকাংশ মানুষই ।

সরকারি চাকরিতে এভাবে কাজের সুযোগ তৈরি করে দেওয়া লোকসভার আগে মোদী সরকারের মাস্টারস্ট্রোক হিসাবেই বিশেষজ্ঞরা দেখছেন।

উঁচুজাতের হয়েও দরিদ্র যে শ্রেণি বারবার পিছিয়ে পড়ছিল, তাঁদের এর ফলে সরকারি চাকরির সংরক্ষণের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এর আগে এই সুবিধা দেওয়া হতো না।

জাত বিশেষে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে পঞ্চাশ শতাংশ সংরক্ষণ করা যায়। মোদী সরকার সেই নিয়মকেই কাজে লাগিয়ে লোকসভা ভোটের আগে বড় পদক্ষেপ নিল।

ওবিসি, তপশিলি জাতি, তপশিলি উপজাতিদের জন্য পৃথক সংরক্ষণ আছে। যার মোট পরিমাণ ৫০ শতাংশ। সংরক্ষণের আওতায় ছিল না শুধু জেনারেল কাস্ট (উচ্চবর্ণ)। যে ৫০ শতাংশ সংরক্ষণের আওতায় ছিল না, তাতে স্কুল কলেজে ভরতি বা সরকারি চাকরি পেতেন উচ্চবর্ণের প্রার্থীরা। সেখানেও ভাগ বসাতো সংরক্ষণের আওতায় থাকা প্রার্থীরা। নতুন যে সংরক্ষণ আইন আনা হচ্ছে তাতে সেই ৫০ শতাংশ থেকেই ১০ শতাংশ সংরক্ষণ পাবেন আর্থিকভাবে পিছিয়ে যারা।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment