রবিবার গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে ধিক্কার মিছিল হয়েছে বারাকপুরে। নেতৃত্বে ছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, মুকুল রায়, লকেট চট্টোপাধ্যায়। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত এক জনকেই গ্রেফতার করতে পেরেছে পুলিস। তাকে নিমতা থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
খড়দহে গণধর্ষণকাণ্ডের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করল বিজেপি মহিলা মোর্চা। প্রত্যেক অভিযুক্তকে গ্রেফতার ও কঠোর শাস্তির দাবিতে সোমবার বিকালে নেতাজি ভবন থেকে মিছিল করেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। হাজরা মোড়ের কাছে মিছিল আটকে দেয় পুলিস।
গণধর্ষণের ঘটনায় বিজেপির মোমবাতি মিছিলকে ঘিরে ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে গেল হাজরায়। হাজরা মোড় বিজেপির মিছিল আটকানোর পরই পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে। বিজেপির বিক্ষোভকে প্রশমিত করতে গ্রেফতার করা হয় নেতা-কর্মীদের। গ্রেফতার করা হয় মোর্চা সভানেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়কে।
খড়দহের পাতুলিয়ার বাসিন্দা ওই মহিলা বুধবার সন্ধ্যায় ছেলেকে এলাকাতেই টিউশন পড়াতে দিতে গিয়েছিলেন। অভিযোগ বাড়ি ফেরার পথে তিন যুবক তাঁর রাস্তা আটকায়। সন্ধ্যার পর ওই এলাকা মোটামুটি ফাঁকা থাকে বলেই জানিয়েছেন স্থানীয়রা। ফাঁকা রাস্তায় মহিলার শাড়ি ধরে টানাটানি শুরু করে তারা। তাঁকে নির্মীয়মান বহুতলে তুলে নিয়ে যায় তারা। সেখানেই তাঁকে গণধর্ষণ করে তিন যুবক।
এই ঘটনায় মাত্র একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের নাম সমীর বিশ্বাস। বাকি তিনজন এখনও অধরা। তারা তৃণমূলের কর্মী বলেই গ্রেফতার করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিজেপির।
অভিযুক্তরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী, তাই তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না অভিযোগ বিজেপির। ঘটনার প্রতিবাদে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করল বিজেপি। মিছিল শেষে বিজেপি দাবি করে, রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। এ রাজ্যে মহিলাদের কোনও নিরাপত্তা নেই। দিনদুপুরে ধর্ষিতা হচ্ছেন মহিলা।

0 comments:
Post a Comment