সোনিয়া-রাহুলের প্রতিনিধি হয়ে এসে সবাইকে একজোট হওয়ার বার্তা দিয়ে গেলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিজেপি বিরোধীদের একমঞ্চে আনার জন্য মমতাকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ব্রিগেড থেকে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র বাঁচানোর জন্য, সার্বভৌমত্ব বাঁচানোর জন্য এক হওয়া জরুরি। তা না হলে মোদী-শাহ দেশকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যাবে। তাই হৃদয় না চাইলেও হাত মেলাতেই হবে।
সনিয়া গান্ধীর একটি বার্তা পাঠ করেন। সনিয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, দেশে অর্থনৈতিক সমস্যা রয়েছে। রাজনৈতিক, সামাজিক পরিস্থিতিও সমস্যায়। মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ গুরুত্বপূর্ণ। এই পদক্ষেপের পূর্ণ সাফল্য কামনা করছেন তিনি। মানে চিঠিতে একটা ধরি মাছ না ছুঁই পানি ভাব প্রকট।
আমরা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাজ কীভাবে দেশকে-সমাজকে ভেঙে টুকরো টুকরো করে দিচ্ছে। দেশে ব্রিদ্বষের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, ধর্মে-ধর্মে ভেদাভেদ, লড়াই বাধিয়ে দিচ্ছে এই সরকার।
বিজেপি বিরোধী লড়াইতে সকলকে হাতে হাত মেলানোর ডাক দেন তিনি। জানান হৃদয় নাও মিলতে পারে কিন্তু হাতে হাত মেলানোর সময় এসে গেছে।
তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে সবাই একজোট হয়েছেন ব্রিগেডের মঞ্চে। একটাই লক্ষ্য, 'পরিবর্তন।'
২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অবিজেপি জোট ক্ষমতা এলে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কে প্রধানমন্ত্রী হবে, কে নেতা হবে, তা বড় কথা নয়। আমাদের এই ইউনাইটেড ইন্ডিয়া জোটে নেতার অভাব নেই। সবাই নেতা।
সবাই প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্য। আপাতত নির্বাচনের আগে সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। বিজেপিকে হারাতে হবে।

0 comments:
Post a Comment