বিয়ে নিয়ে বন্ধুর খোঁটা সহ্য হয়নি। তাই মহারাষ্ট্রে বন্ধুকে খুন করে তার দেহ ২০০ টুকরো করে বাথরুমের কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করে দিল আর এক বন্ধু।
বিবাদের সময় গণেশ (৫৮ বছর) বন্ধুর মাথা দেওয়ালে সজোরে ধাক্কা মারতেই ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বন্ধু পিন্টু শর্মার (৪০ বছর)। পরে অপরাধ ঢাকতে তাকে ২০০ টুকরো করে কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করে দেয় গণেশ।
তবে টুকরো পাইপে আটকে তা বন্ধ হয়ে গেলে গোটা ঘটনা ফাঁস হয়। পুলিশ এসে রহস্য উদ্ধার করে। বন্ধু কে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে বন্ধু গণেশকে।
বিয়ের জন্য ওই বন্ধু পিন্টুর থেকেই ১ লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল গণেশ। তার মধ্যে ৪০ হাজার টাকা শোধও করা হয়ে গিয়েছিল।
বাকী ৬০ হাজার টাকা নিয়ে বিবাদ চরমে ওঠে। এরপরই একদিন বাড়িতে আসে পিন্টু। তার বাড়ি এসে বিদ্রুপ করে গণেশকে বলে, পাত্রী তরুণী হওয়ায় বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে পারে।
বেশি বয়সে কমবয়সি পাত্রীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তের জন্য বন্ধুর খোঁটা সহ্য হয়নি। তাই বন্ধুর মাথা দেওয়ালে সজোরে ঠুকে দিয়েছিল ৫৮ বছরের গণেশ।
ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় পিন্টুর। এতেও রাগ কমেনি। চারদিন ধরে চপার দিয়ে পিন্টুর দেহ কুচি কুচি করে ২০০ টুকরো করে গণেশ।
প্রমাণ লোপাট করতে দেহের ছোট টুকরোগুলি বাথরুমের কমোডের জলে ফেলে চালু করে দেয় ফ্লাশ। আর শরীরের হাড় আলাদা করে ছুঁড়ে ফেলে ট্রেন থেকে।
গণেশ ভেবেছিল, কোমোডে ফ্লাশ টেনে পুরো দেহ ভাসিয়ে দেবে। কিন্তু ফ্লাশের জলের তোড়ে পাইপ দিয়ে নামতে পারেনি দেহাংশ। বহুতলের নিকাশি পাইপ কেন আটকে গিয়েছে তা দেখতে ডাকা হয় সাফাইকর্মীকে। পাইপ খুলতেই টুকরোগুলি প্রকাশ্যে আসে। পিন্টুর শরীরের টুকরো উদ্ধার হয়।
পুলিশি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করে গণেশ। ঘটনাটি মুম্বইয়ের ভিরারের। খুনের পর অভিযোগ লোপাট করার জন্য বন্ধুর দেহ কুচিকুচি করে কোমোডে ফ্লাশ টানে। শরীরের হাড় আলাদা করে বস্তাবন্দি করে ট্রেন থেকে ছুঁড়ে ফেলে।

0 comments:
Post a Comment