মমতা যখন যুব কংগ্রেসের নেত্রী ছিলেন, তখন থেকে সম্পর্ক। তিন দশক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজনীতি করেছেন। বহু আন্দোলন একসঙ্গে করেছেন। এমনকী বিধানসভা ভাঙচুরের ঘটনাতেও দলনেত্রীর কথায় এগিয়ে গিয়ে তাণ্ডব চালাতে পিছপা হননি ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। এহেন অর্জুন সিং এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।
জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূলের হয়ে কাজ করা ভাটপাড়ার বিধায়ক তথা দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা অর্জুন সিং দল বদলে বিজেপিতে এদিন যোগ দিয়েছেন। চারবারের বিধায়ক। এলাকায় জোর দাপট রয়েছে তাঁর। একই এলাকার মানুষ হয়েও মুকুল রায় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর সংগঠন ধরে রেখেছিলেন অর্জুন। এবার তিনিই মুকুল রায়ের হাত ধরে যোগ দিলেন বিজেপিতে।
নেপথ্যে সেই মুকুল রায়। দলবদলের পর একে একে ছিপ দিয়ে গেঁথে মাছ তোলার মতো করে অন্য দল থেকে নিয়ে এসে বিজেপিতে যোগ দেওয়াচ্ছেন বিরোধী নেতাদের। অনুপম হাজরাকে দলে যোগ দেওয়ানোর একদিন পরই তুলে নিলেন অর্জুন সিংকে।
এক সময় তৃণমূলের অন্দর মুকুল রায়ের সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছে না বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল, সেই মুকুলের হাত ধরেই এবার বিজেপিতে ভাটপাড়ার বিধায়ক। এর আগে মুকুল রায়ের বিজেপিতে যোগদানের পর বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা হয়ে উঠেছিলেন অর্জুন। তাঁর ওপর ভরসা করেছিলেন খোদ তৃণমূলনেত্রী মমতা ব্যানার্জির। এমনকী দীনেশের বদলে অর্জুনকে বারাকপুরের প্রার্থী করা হতে পারে বলে গুঞ্জনও ছড়ায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিকে ছেঁড়েনি অর্জুনের কপালে। সোমবার নবান্নে অর্জুন ও দীনেশ ত্রিবেদীকে তলব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দেন, তাঁর সিদ্ধান্তের কথা। জানানো হয়, দীনেশ ত্রিবেদীকেই বারাকপুর কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করতে চলেছে দল।
তাঁর কথায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখেই দল লড়বে। মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি যথেষ্ট কাজ করেছেন। সেটা মানুষ জানেন। আলাদা করে বলতে হবে না। মানুষই তৃণমূলকে ভোট দিতে জিতিয়ে আনবে।
বুধবারই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা করেছিলেন যে, দলের কয়েকজন নেতা আসনের লোভে দলবদলের চেষ্টা করছে। আর সেই আশঙ্কার পর ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই অর্জুন চলে এলেন বিজেপিতে। দিল্লিতে গেরুয় কার্যালয়ে গিয়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে দলে যোগ দিলেন।
তবে অর্জুনকে তিনি রাজ্যের মন্ত্রিত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দেন। নবান্ন থেকে হাসি মুখে বেরোলেও তার পর থেকেই বেসুরো ছিলেন অর্জুন। মঙ্গলবার দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পরই বিজেপিতে যোগদানের তোড়জোড় শুরু করেন তিনি। ওইদিন রাতেই অনুগামীদের সঙ্গে বৈঠক করেন অর্জুন। বারাকপুরে তৃণমূলের সংগঠন তৈরিতে তাঁর যে অনস্বীকার্য ভূমিকা রয়েছে, অনুগামীদের কাছে তা তুলে ধরেন তিনি। মুকুল রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
কেবল অর্জুনই নয়, রাজ্যের আরও বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বও এরপর বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন।
তাঁর সঙ্গে রয়েছেন বারাকপুর পুরসভার বেশ কয়েকজন তৃণমূল কাউন্সিলর এবং বেশ কয়েকজন তৃণমূল সদস্য।

The best free casino site - Lucky Club
ReplyDeleteAt Lucky Club we play top rated casino games such as Blackjack, luckyclub.live Baccarat, Roulette, Slots, Blackjack, Baccarat, Video Poker, Video