পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও অত্যন্ত নরম সুরে আলোচনার কথা বলেছেন। যুদ্ধ যে সমস্যার সমাধান নয় এবং তাতে দু'দেশই ক্ষতিগ্রস্ত হবে সে কথা মনে করিয়ে ইমরানের পরামর্শ, আলোচনায় বসুক নয়াদিল্লি।
ইমরান খানের সরকার এতটাই বিপাকে যে এ বার 'বাঁচতে' রাষ্ট্রসঙ্ঘে দ্বারস্থ হল পাকিস্তান। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি রাষ্ট্রসঙ্ঘের সেক্রেটারি জেনারেল আন্তোনিও গুয়েতেরেসকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, যে কোনও সময়ই ভারত হামলা চালাতে পারে। দুই দেশের শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতা করুক রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
যদি পুলওয়ামা ঘটনায় পাকিস্তানের যুক্ত থাকার প্রমাণ ভারত দিতে পারে, তাহলে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে তার সরকার।
তবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, আলোচনার দিন শেষ। জঙ্গি দমনে যত দিন না পাকিস্তান কড়া পদক্ষেপ করছে, বিভিন্ন উপায়ে তাদের কোণঠাসা করার মরিয়া চেষ্টা জারি থাকবে ভারতের।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলায় মৃত্যু হয় ৪০ জওয়ানের। ঘটনার দায় স্বীকার করে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ। এরপরই পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে নানা পদক্ষেপ করতে শুরু করে নয়া দিল্লি। এমনকি সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয় সেনাকে। ফের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের জল্পনা শুরু হয়ে যায়।
পাক সীমান্তে এমনই হামলার আশঙ্কা করে পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশি চিঠিতে জানান, ভারত যে কোনও সময়ে তাদের সামরিক শক্তি ব্যবহার করতে পারে। এমনই আশঙ্কায় সীমান্তের পরিস্থিতি অবনতি ঘটেছে।
দ্রুত পদক্ষেপ করুক রাষ্ট্রসঙ্ঘ। ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছে ভারতের বায়ুসেনা। সেনা এবং জম্মু-কাশ্মীরের পুলিসের তরফে জানানো হয়েছে, জঙ্গি দমনে কোনও ত্রুটি রাখবে না তাদের নিরাপত্তাবাহিনী।
ভারত সিন্ধু জলবন্টন চুক্তি নিয়ে যে চিন্তাভাবনা করেছে, সে বিষয়েও রাষ্ট্রসঙ্ঘের দৃষ্টি আকর্ষণ করিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন কুরেশি।
ভারত প্রমাণ ছাড়াই পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার জন্য পাকিস্তানকে দায়ী করে চলেছে। ভারতের কাছে যদি প্রমাণ থাকে তাহলে তা দিক। ভাতর যদি প্রমাণ দিতে পারে তাঁর সরকার ব্যবস্থা নেবে।
পাকিস্তানে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে এমনই দাবি করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তাঁর দাবি, এটা নতুন পাকিস্তান। এই পাকিস্তান চাইছে স্থিতিশীলতা। তাহলে কেন তারা এমন কাণ্ড ঘটাবে?
যদিও মুম্বই হামলা থেকে পাঠানকোট হামলা, সব সময়েই পাকিস্তানের হাতে প্রমাণ তুলে দিয়েছে ভারত। কিন্তু ইতিহাস বলছে ব্যবস্থা নেয়নি পাকিস্তান।
সাফাইয়ের সুরে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এদিন নানাভাবে এটাই প্রমাণের চেষ্টা করেন যে পুলওয়ামার ঘটনায় পাকিস্তানের কোনও হাত নেই। আর ভারত তাদের সম্বন্ধে অযথা প্রমাণ ছাড়াই অভিযোগ আনছে। পুলওয়ামা হামলা নিয়ে প্রমাণ তুলে দিক ভারত।
যার উত্তর দিয়েছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। জবাবে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং টুইট বার্তায় জানান, 'পাকিস্তানের বাহাওয়ালপুরে বসে রয়েছে জইশ প্রধান মাসুদ আজহার। যে আইএসআইয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়ে হামলার ছক কষেছে।যান সেখান থেকে তুলে নিন তাকে সেখান থেকে। যদি না পারেন তাহলে জানিয়ে দিন, আমরা করে নেব। ভালো কথা, ২৬/১১ হামলার প্রমাণ নিয়ে কী করেছেন আপনারা।'
0 comments:
Post a Comment