জয়পুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে সহ বন্দীদের হাতেই খুন হল শকুল উল্লা নামে এক পাকিস্তানি নাগরিক। এই ঘটনায় তিনজন জড়িত আছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
মৃতের নাম শাকিরউল্লা বলে জানা গিয়েছে। তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে ধরেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, শাকিরউল্লাকে পিটিয়ে মারার ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরেই জয়পুর সেন্ট্রাল জেলে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান রাজস্থান পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। ঘটনাটির সত্যতার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন রাজস্থান পুলিশের আইজিও।
জয়পুর পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ৫০ বছরের শাকিরউল্লা ২০১১ সাল থেকে জেলবন্দি ছিল।
বুধবার টিভির আওয়াজ বাড়ানো নিয়ে অন্য তিন বন্দির সঙ্গে শাকিরউল্লার ঝামেলা শুরু হয়। ঘটনা গড়ায় হাতাহাতিতে। এর মধ্যেই একটি ভারি পাথর দিয়ে আঘাত করা হয় তার মাথায়। সঙ্গে সঙ্গেই তার মৃত্য়ু হয়। এই খবর পেয়েই সংশোধনাগারে ছুটে যান রাজস্থানের পুলিশের বড় কর্তারা।
জেলের মধ্যে অতবড় পাথর কী করে এল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। খুনের ঘটনার তদন্ত চালানোর জন্য একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে দুপুর ১টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটে। শকুল উল্লার সঙ্গে টিভির আওয়াজ নিয়ে বাকি বন্দীদের তীব্র বিবাদ বাধে।
এর পিছনে অন্য কোনও কারণ আছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জয়পুরের অতিরিক্ত কমিশনার লক্ষ্মণ গৌর। জেল চত্ত্বরেই আদালতের তত্বাবধঝানে তাঁর দেহের ময়না তদন্ত করা হবে।
সংশোধনাগারের এক আধিকারিক জানিয়েছেন ৫০ বছরের শকুল উল্লা পাকিস্তানের শিয়ালকোটের বাসিন্দা। ভারতে বেআইনি কাজ-কারবার করার জন্য ২০১১ সালে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। সেই থেকে জয়পুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি ছিল।

0 comments:
Post a Comment