ভারতের ভয়, জইশ-ই-মহম্মদের হেডকোয়ার্টার দখল নিল পাক সরকার



পুলওয়ামায় জঙ্গি হানার পর চাপ বাড়ছে পাকিস্তানের ওপরে। জইশের হেডকোয়ার্টারের দখল নিল পাকিস্তান সরকার। ভারত এবং আর্ন্তজাতিক চাপের কাছে নতি স্বীকার করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান সরকরার। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের এমনটাই মত।

পাক অর্ন্তভুক্ত পঞ্জাব প্রদেশের ভওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান ঘাঁটির দখল নিল পাকিস্তানের ইমরান সরকার। পাক পঞ্জাব সরকার জইশ পরিচালিত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দখল নিয়েছে। পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক টুইট করে জানিয়েছে, পঞ্জাব সরকার ভাওয়ালপুরে মাদ্রাসাতুল সাবির ও জামা-ই-মসজিদের দখল নিয়েছে। এই দুই প্রতিষ্টানকেই জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান কার্যালয় বলে মনে করা হয়।

পুলওয়ামা হামলার পর পাকিস্তানের মধ্যে থাকা ভওয়ারপুরের জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান ঘাঁটিতে আবারও সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করতে পারে ভারত। এই ভয় থেকেই দখল নেওয়ার নাম করে আদপে মাসুদ আজাহার এন্ড কোং-এর মতো সন্ত্রাসবাদীদের নিরাপত্তা বাড়ালো ইমরান খানের সরকার।




আটদিন আগে কাশ্মীরে পুলওয়ামাতে সিআরপিএফদের কনভয়ে আত্মঘাতী জঙ্গী হামলা চালিয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ। এই সন্ত্রাসবাদী সংগঠনটি মূলত পরিচালিত হয় পাকিস্তান থেকে। জইশ-ই-মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজাহারকে আশ্রয় দিয়ে রেখেছে পাকিস্তান। পাক অর্ন্তভুক্ত পঞ্জাবের ভওয়ালপুর জইশ-ইমহম্মদের প্রধান ডেরাটি আসলেই জঙ্গী তৈরির কারখানা।

পাকিস্তানের ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ভাওয়ালপুরে অবস্থিত জামিয়া মসজিদ সুবান আল্লাহ মসজিদ থেকেই কাজকর্ম চালায় জইশ। ভাওয়ালপুরের সেনা সদর ওই মসজিদ থেকে মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে। এখন জইশের সদর দখল নেওয়া উদ্দেশ্য তার বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়া নাকি তাকে রক্ষা করা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের জাতীয় সুরক্ষা কমিটির একটি জরুরি বৈঠক বসে। সেখানেই ঠিক হয় হাফিজ সইদের প্রতিষ্ঠান জামাত-উদ-দাওয়া ও ফালাহ-ই-ইনসানিয়ত-কে নিষিদ্ধ করা হবে। এই দুই প্রতিষ্ঠানে আসা টাকাতেই চলে লস্কর-ই-তৈবা।

পাক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্রের বক্তব্য অনুযায়ী জইশের ওই সদর দফতরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে ৬০০ পড়ুয়া রয়েছে। রয়েছেন ৭০ শিক্ষক।

ভওয়ালপুরের জইশ-ই-মহম্মদের এই ডেরায় প্রায় ৭০জন জেহাদি শিক্ষক দিনরাতের অক্লান্ত পরিশ্রমে জঙ্গী তৈরি করেন। প্রায় ৬০০ আগামীদিনের জঙ্গীরা কড়া নজরদারিতে প্রশিক্ষণ নেয় এই ঘাঁটিতে।

তাই এই ঘাঁটিটিকে বাঁচাতে একপ্রকার মরীয়া পাকিস্তান। এখানে আক্রমণ হলে ভারতকে ছেড়ে কথা বলবে না বলে হুমকিও দিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তবে পুলওয়ারমার ঘটনার পর ইজরায়েল থেকে রাশিয়া যেভাবে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে তাতে ভয় পেয়েই যুদ্ধের প্রস্তুতিও শুরু করেছে পাকিস্তান। এবার দখল নেওয়ার নাম করে মাসুদ আজাহারের নিরাপত্তা কার্যত আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিল পাকিস্তান।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment