পুলওয়ামার ঘটনায় পাকিস্তানকে চাপে ফেলে ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে গোটা বিশ্ব। জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি উঠছে গোটা বিশ্বজুড়ে। এবার শুধু ভারতই নয়, জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজহারকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলতে শুরু করেছে গোটা বিশ্ব। এই অবস্থায় চরম চাপে পাকিস্তান।
পুলওয়ামায় হামলা চালিয়ে মোট ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে খুন করেছে তারা। যার দায় স্বীকার করেছিল জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। এই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজহার। ২৬/১১ হামলার মাস্টারমাইন্ড হল হাফিজ সইদ।
এই অস্বস্তি ঢাকতে পুলওয়ামার ঘটনার মাস্টারমাইন্ড মাসুদ আজাহারকে আড়াল করল পাকিস্তান সেনা। শুধু মাসুদই নন, হাফিজ সইদকেও লুকিয়ে ফেলল পাকসেনা। আপাতত বেশ কিছুদিন এই দুইকে জঙ্গিকে প্রকাশ্যে আসা থেকে নিষেধ করেছে নাকি পাকিস্তান সেনা। জি নিউজে প্রকাশিত খবর মোতাবেক এমনটাই জানানো হয়েছে।
পুলওয়ামার ঘটনায় প্রতিশোধের আগুন নিতে ফুঁসছে গোটা দেশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে সাধারণ মানুষের সমর্থন পেতে কিছু একটা পদক্ষেপ যে মোদী সরকার তা ভালোই বুঝতে পারছে পাকিস্তান। এবং সেটা জে একেবারে হালকা কিছু হবে না তাও বুঝতে পারছে ইসলামাবাদ। আর সেই আঘাত এই দুই জঙ্গি নেতার উপরেও পড়তে পারে বলে মনে করছে পাকিস্তান। আর সেজন্যে কার্যত মোস্ট ওয়াটেন্ড এই জঙ্গিকে লুকিয়ে ফেলল পাকিস্তান।
পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার পর থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহারের। কাশ্মীরে ভয়াবহ হামলার সপ্তাহ খানেক আগেই পাকিস্তানে মৌলবাদীদের একটি সভায় ভাষণ দিতে দেখা যায় আজহারকে। সেই সভার নিরাপত্তায় মোতায়েন ছিল পাক পুলিশ ও সেনাকর্মীরা।
আন্তর্জাতিক জঙ্গি তকমা পাওয়া এই দুই জঙ্গিকে এখন প্রকাশ্য সভা-সমাবেশেও আসতে নিষেধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ৪৯ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে হত্যা করে জৈশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি গোষ্ঠী। পাকিস্তানের সেনারা আরডিএক্স বিস্ফোরক বোঝাই করে একটি বাস রাওয়ালপিন্ডিতে জৈশ জঙ্গিদের হাতে তুলে দেয়। সেটাই এখানে ব্যবহার করা হয়েছিল। এখন তারা ভয় পাচ্ছে ভারত যদি পাল্টা আঘাত হানে তাহলে বেশ সমস্যায় পড়ে যাবে গোটা দেশ। তাই এই দুই শীর্ষ জঙ্গি নেতাকে খানিকটা ঘাপটি মেরে থাকতে বলেছে পাক সেনা।
ভয়ের কারণ হল পুলওয়ামায় হামলার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তিনজন জৈশ জঙ্গিকে নিকেশ করেছে সেনাবাহিনী। এমনকী মূলচক্রী কামরান এবং আবদুল রশিদ গাজিকেও খতম করে দেওয়া হয়েছে। ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে অন্যান্য শক্তিধর দেশও। তাই এই দুই আন্তর্জাতিক জঙ্গিকে এখন কিছুদিন প্রকাশ্যে আসা থেকে দূরে থাকতে বলছে পাক সেনা।

0 comments:
Post a Comment