ভূমিকম্প ও সুনামির জেরে, আর্তনাদ ছাড়া এলাকায় আর কিছুই নেই, আছে শুধু শূণ্যতা



সুনামি ও ভূমিকম্পের জেরে ইন্দোনেশিয়ায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা, উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে পালু শহরের প্রায় মুছে যাওয়ার ছবি। ছবিতে স্পষ্ট কীভাবে সুনামির ঢেউ ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে জীবনকে। নিশ্চিহ্ন ঘরবাড়ি, গাছপালা, রাস্তা ঘাট। আগে যেখানে প্রাণের স্পন্দন ছিল, এখন সেখানে শুধুই শূণ্যতা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সব হারানোর আর্তনাদ ছাড়া সেই এলাকায় আর কিছুই নেই। এখনও অবধি প্রায় সাড়ে বারোশ জন মানুষের প্রাণ হারানোর তথ্য দিয়েছে প্রশাসন। ইন্দোনেশিয়ার পালু আপাতত শ্মশানের পরিণত হয়েছে।

ভূমিকম্প প্রবণ ইন্দোনেশিয়া পৃথিবীতে অন্যতম ভূমিকম্প প্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত। মুসলমান অধিবাসী বেশি হলেও কিছু এলাকায় খ্রিস্টান ও অন্য ধর্মের মানুষেরও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান রয়েছে।

মঙ্গলবার নতুন করে মাটি দুলে ওঠে ইন্দোনেশিয়ায়। জোড়া ভূমিকম্পের মুখে পড়ল গোটা দেশ। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৫.৯ ও ৬.০। ফিরে এল দুদিন আগেই ঘটে যাওয়া ভয়াবহ সুনামির স্মৃতি। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক সংস্থা জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার দক্ষিণ উপকূলীয় এলাকা সুম্বা দ্বীপে প্রথম কম্পন অনুভূত হয়। সুম্বা থেকে ৪০ কিমি দূরে ও ১০ কিমি মাটির নীচে এই কম্পনের উত্‍সস্থল। সুম্বা দ্বীপে প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার মানুষের বাস। আতঙ্কে ঘর বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মানুষ। .

বারবার আফটার শক বিপর্যয় মোকাবিলা দফতর জানিয়েছে, শুক্রবারের ৭.৫ মাত্রার কম্পনের পর অন্তত ১৭০ বার আফটার শক হয়েছে। ফলে বাসিন্দারা রীতিমতো চিন্তায় রয়েছেন। তার উপরে সুনামি হওয়ায় চারিদিক ভেসে গিয়েছে।

গত সপ্তাহে ভূমিকম্পের জেরে জাকার্তা সহ সমগ্র ইন্দোনেশিয়া লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে । সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল সুলায়েসি দ্বীপ । ভয়াবহ সুনামিতে সমুদ্রের জল প্রায় ২ মিটার পর্যন্ত উপরে উঠেছিল । সেই সুলায়েসি দ্বীপ থেকে মাত্র ১০০ মাইল দূরে অবস্থিত দূরে অবস্থিত সুম্বা দ্বীপ । আজ সকালেও দুবার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল ইন্দোনেশিয়া .

শুক্রবারের ৭.৫ মাত্রা ভূমিকম্পে  ইন্দোনেশিয়ার বুকে আছড়ে পড়ে সুনামি। সুনামির জেরে ঢেউয়ের উচ্চতা ছিল ১০ ফুট পর্যন্ত। ফলে প্রবল জলোচ্ছ্বাসে কার্যত ভেসে যায় সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল। ডোনগালার তালিসা বিচে শুক্রবার ধেয়ে আসে সেই সুনামি। মুহূর্তে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সবকিছু।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment