বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে মসজদ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। প্রতিদিন নমাজ পড়ার সময় তারস্বরে মাইক বাজানোর অভিযোগ মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। তারস্বরে লাউডস্পিকারের ব্যবহার নিয়ে সরব হয়েছিল স্থানীয় অমুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা। হরিয়ানার গুরুগ্রামের শিতলা কলোনি এলাকার ঘটনা।
মসজিদ কর্ত্রিপক্ষের বিরুদ্ধে লাউডস্পিকারের ব্যবহার ছাড়াও আইন অমান্যের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগকারীদের বক্তব্য হচ্ছে - আইন বিরুদ্ধভাবে একটি তিন তলা বাড়িকে মসজিদ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই প্রতিদিন শতাধিক মানুষ ওই মসজিদে নমাজের জন্য আসেন। আর নমাজের তারস্বর লাউডস্পিকারের তাণ্ডবে বিব্রত হন সহস্রাধিক মানুষ।
মসজিদে নমাজ পড়ার নামে তারস্বরে মাইক বাজানো। প্রতিদিন নমাজ পড়ার সময় তারস্বরে মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে গুরুগ্রামে নিমাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক দেখা দেয়। সেই সময় থেকেই গুরুগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ছড়ায় চাপা উত্তেজনা। নমাজ পাঠের জন্য বিশেষ কিছু জায়গা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিদৃষ্ট করে দেওয়া হয়।
বেশ কয়েকটি অমুসলিম সংগঠনের তরফ থেকে মসজিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই শিতলা কলোনি এলাকায় নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হয়েছিল। মসজিদ বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকে অনেক বাড়ানো হয়েছে সেই নিরাপত্তারক্ষীদের সংখ্যা। কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে সমগ্র এলাকা।
পরিস্থিতি যাতে কোনোভাবেই হাতের বাইরে না চলে যায় সেদিকে নজর ছিল প্রশাসনের। সেই কারণেই মসজিদ বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

0 comments:
Post a Comment