অর্থনৈতিক বৃদ্ধিতে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত। নোট বাতিল, জিএসটির ফলে ২০৩০-এ বিশ্ব অর্থনীতিতে তিন নম্বরে ভারত



চলতি বছরের শেষে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.‌৩ শতাংশ। আগামী বছর বৃদ্ধির হার হতে পারে ৭.‌৪ শতাংশ। আজ মঙ্গলবার নতুন প্রকাশিত রিপোর্টে এই ইঙ্গিত দিয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল বা আইএমএফ।

 অর্থনীতির দৌড়ে ক্রমশ উপরের দিকে উঠে আসছে ভারত! মনে করা হচ্ছে বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশকে পিছনে ফেলে বিশ্ব অর্থনীতিতে তিন নম্বরে উঠে আসবে ভারত আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে।

গত বছর বৃদ্ধির হার ছিল সেখানে ৬.‌৭ শতাংশ। আইএমএফ-এর ওয়র্ল্ড ইকোনমিক আইটলুক বা ডব্লুইও-র রিপোর্ট বলছে, নোট বাতিল, জিএসটি, বড় অঙ্কের বিনিয়োগ এবং ব্যক্তিগত সংরক্ষণের ফলেই এই বৃদ্ধি।

এছাড়াও ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতে পরিকাঠামোগত সংস্কারের ফলে মিডিয়াম টার্ম বৃদ্ধি ৭.‌৭৫ শতাংশের মধ্যে ঘোরাফেরা করছে। শুধু গত এপ্রিলে বাজারের ঘাটতি হয়েছিল ০.‌৫ শতাংশ। তবে এই হারে আর্থিক বৃদ্ধি হলে, ২০১৮-র মধ্যে ০.‌৭ শতাংশ এবং ২০১৯-এ ১.‌২ শতাংশ বৃদ্ধি হয়ে আগামী বছরের মধ্যেই চীনকে ছাড়িয়ে দ্রুততম হারে আর্থিক বৃদ্ধি হওয়া দেশের তকমা ফিরে পাবে ভারত।

কারণ ২০১৮ সালের শেষে চীনের বৃদ্ধির হার দাঁড়াচ্ছে ৬.‌৬ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে তা হবে ৬.‌২ শতাংশ। আমেরিকার বৃদ্ধির হার ২০১৮- র শেষে হচ্ছে ২.‌৯ এবং ২০১৯ সালে হবে ২.‌৫ শতাংশ। 

 সমীক্ষা বলছে, এশিয়ায় অর্থনীতির অন্যতম প্রধান নিয়ন্ত্রক হল ভারত। উন্নতির বেগে ভারতের খুব কাছাকাছি থাকবে জার্মানি এবং জাপান। যদিও এই মুহূর্তে তালিকার শীর্ষে আমেরিকা। এর ঠিক নীচেই রয়েছে চিন। ।

২০৩০ সালের মধ্যে যদি সব ঠিকঠাক থাকে ভারত তিন নম্বর স্থানে উঠে আসতে পারে, তাহলে ভারতের উন্নতি হবে ৫.‌৯ ট্রিলিয়ন ডলার। ফলে আমেরিকা-চিনের পরে বিশ্বকে রাজ করবে ভারত।




Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment