দেশজুড়ে যখন গণপিটুনি নিয়ে কংগ্রেস ও বিরোধীরা বিজেপি সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করছে, তখন কংগ্রেসকে বারবার শিখ দাঙ্গার গঞ্জনা শুনতে হচ্ছে।
সংসদে দাঁড়িয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেন, ভারতে গণপিটুনি নতুন কিছু নয়, ১৯৮৪-তে খোদ কংগ্রেসই শিখ দাঙ্গার সৃষ্টি করেছিল।
রাজনাথ সিংয়ের এই মন্তব্যের পর বিজেপি নেতারা গণপিটুনির সাফাই দিতে গিয়ে বারবার শিখ দাঙ্গার কথা তুলে ধরেছে। রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছে।
দেশের ইতিহাসে '৮৪-র শিখ নিধন কালো অধ্যায়। যা মেনে নিলেন কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট রাহুল গান্ধী।
ইন্দিরা গান্ধীর হত্যা ঘিরে যে তাণ্ডব চলেছিল, তা গণহত্যা ছাড়া কিছুই নয়। এই অভিযোগকে সমর্থন করেছেন রাহুল নিজেই। জানালেন, তিন হাজার শিখ সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। সেই জ্বলন্ত পরিস্থিতির কথা ভাবলেও গা শিউরে ওঠে রাহুলের।
২ দিনের ব্রিটেন সফরে আসা রাহুল গান্ধী সেখানকার সংসদীয় সদস্য ও পড়ুয়াদের উপস্থিতিতে শিখ নিধনের নিন্দা করেন। জানান, যারা এই হত্যালীলা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি পাওয়াই উচিত।
ইন্দিরা গান্ধীর হত্যার পরই পরিস্থিতি ভয়ানক হয়। ধরে ধরে শিখ সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যা করা হয়। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় সম্পত্তি, বাড়ি, গাড়ি।
লন্ডনের বিশেষ আলোচনা সভায় প্রশ্ন ওঠে, কাদের নেতৃত্বে দেশে এত বড় হত্যালীলা ঘটেছিল? রাহুলের জবাব, কোনওভাবেই শিখ নিধনে কংগ্রেস দায়ী নয়। ঘটনায় শোকাহত, মর্মাহত হলেও কংগ্রেসকে দোষারোপ করতে পিছে হটেছেন বর্তমান কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট।
রাহুলের য়ুক্তি, ''কোনও কারণেই হিংসাকে সমর্থন করা যায় না। সে যারাই করুক, তাদের শাস্তিকে আমি ১০০ শতাংশ সমর্থন করি, তবে কোনওভাবেই কংগ্রেসের নেতৃত্বে শিখ নিধন হয়নি।''
যদিও, শিখ নিধনের মূলে যাদের নাম উঠেছিল তারা প্রত্যেকেই কংগ্রেস নেতা। উল্লেখযোগ্য নাম, সজ্জন কুমার, বলবান খোকার, জগদীশ টাইটলারের মত তত্কালীন কংগ্রেসের সামনের সারির নেতারা।
অথচ, ১০০ শতাংশ মর্মাহত হলেও ঘটনায় কংগ্রেসের ভূমিকার প্রসঙ্গ সন্তর্পনে এড়িয়ে যান রাহুল। বললেন, ''হিংসের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে, হিংসা কখনও দলগত নয়।''

0 comments:
Post a Comment