২৮বছর বয়সী ওই মহিলা পুলিশের নজরে আসেন কোপেনহেগেন-এর একটি শপিং সেন্টারে যখন তিনি আরেকজন মহিলার সঙ্গে বাক -বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। তার মুখ থেকে নিকাব সরাতে বলা হলে তিনি অস্বীকৃতি জানান।
এজন্য তার ওপর জরিমানা ধার্য করা হয়। ঘটনার সম্পর্কে প্রাথমিক খবরে বলা হয়, একজন মহিলা আরেকজনের মুখের পর্দা সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছিলেন-আর এ নিয়েই বিবাদ চলছিল দুজনের। কিন্তু পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।
নতুন চালু করা আইনটিতে বুরকা এবং নিকাবের কথা সরাসরি উল্লেখ করা হয়নি, কিন্তু বলা হয়, "কেউ যদি এমন কোন পোশাক পরে যার ফলে তার মুখ ঢাকা পড়ে যায় তাহলে তাকে শাস্তি হিসেবে জরিমানা গুনতে হবে"।
পুলিশের জানায়, দুজনের মধ্যে এই নিয়ে গোলমাল চলার সময় একজনের নিকাব খুলে যায়, কিন্তু যতক্ষণে আমরা সেখানে পৌঁছে যাই ততক্ষণে সে তা আবার মুখে পড়ে ফেলেছে।
পুলিশ বলার পরও নিকাব না খোলায় ওই মহিলাকে ১,০০০ ক্রোনার জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
নিকাব নিষিদ্ধ করার প্রতিবাদে বুধবার রাতেই ডেনমার্কের অনেক মুসলিম মহিলা এর প্রতিবাদ জানিয়েছে বোরকা এবং নিকাব পড়েই। তাদের বক্তব্য, তারা নিজ ইচ্ছায় পোশাক পরার অধিকার রক্ষার জন্য লড়াই করছেন।
যদিও আইনটিতে কোথাও মুসলিম মহিলাদের কথা উল্লেখ করা হয় নি, কিন্তু বলা হচ্ছে কেউ যদি এমন পোশাক পরে যাতে জনসমক্ষে তার মুখ পুরোপুরি ঢাকা থাকবে -তাহলে তাকে জরিমানা করা হবে।
যদিও অনেক মুসলিম মহিলা বলছে তারা এই আইনটি মানবে না। এই অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঘটালে ১০,০০০ ক্রোনার দণ্ড হবে।
ফ্রান্স অস্ট্রিয়া, বুলগেরিয়া এবং জার্মানির বাভারিয়া রাজ্য-এর কোথাও কোথাও এ ধরনের পূর্ণাঙ্গ অথবা আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

0 comments:
Post a Comment