নিঃসন্তান হওয়ায় তাঁদের দাম্পত্য জীবন সুখের ছিল না। দাম্পত্য জীবনে অশান্তি লেগেই থাকত। যতদিন যাচ্ছিল ততই সম্পর্কের অবনতি ঘটছিল দু'জনের। তার জন্যই চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিলেন উত্তর ২৪ পরগনার মধ্যমগ্রামের শ্রীপুরের দাস দম্পতি।
স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন স্বামী। দম্পতির মৃতদেহ উদ্ধারের পর প্রাথমিক তদন্তে তেমনটাই মনে করছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঠিক কী কারণে মারা গেলেন স্বামী-স্ত্রী তা নিয়েই ধন্দে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ।
মধ্যমগ্রামের শ্রীপুরের বাসিন্দা শম্ভুনাথ দাস এবং স্বপ্না দাস দম্পতি বিয়ের পর প্রথম কয়েকবছর সম্পর্ক ভালই ছিল দু'জনের। বেশ সুখেই কাটছিল তাঁদের।
ইদানীং তাঁরা জানতে পারেন, সন্তান হবে না তাঁদের। নিঃসন্তান হওয়ায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তাঁরা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। নিত্যদিন অশান্তি লেগে থাকত। মাঝে মাঝে নাকি স্ত্রীকেও তালাবন্দি করে রাখত শম্ভুনাথ। দু'জনের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগে থাকত বলেই দাবি প্রতিবেশীদের। ওই অশান্তির জেরেই স্ত্রীকে খুন করে আত্মঘাতী হয়েছেন স্বামী।
রবিবার রাতেও সেই কারণে প্রবল ঝগড়াঝাটি হয়। সোমবার সকালে অনেক দেরি পর্যন্ত বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখেন বিছানার উপরে পড়ে রয়েছে স্ত্রীর নিথর দেহ। তার পাশে ওই ঘরেই সিলিং থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় শম্ভুনাথের দেহ। তড়িঘড়ি ওই দু'জনের দেহ উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে ততক্ষণে মারা গিয়েছেন দম্পতি।
পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। এই মৃত্যুর নেপথ্যে সন্তানহীনতা রয়েছে বলে প্রতিবেশীদের ধারণা। প্রতিবেশীদের দাবি সঠিক নাকি রহস্যমৃত্যুর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখছে মধ্যমগ্রাম থানার পুলিশ। দু'জনের দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। আপাতত ওই দম্পতির ময়নাতদন্ত রিপোর্টের অপেক্ষায় তদন্তকারী পুলিশরা।

0 comments:
Post a Comment