শক্তি বাড়ল ভারতীয় বায়ুসেনার, মহাকাশে পাড়ি দিল 'অ্যাংরি বার্ড'



যোগাযোগ ব্যবস্থা দিগন্ত খুলে দিতে  মহাকাশে পাড়ি দিল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার হাতে গড়া 'অ্যাংরি বার্ড' কৃত্রিম উপগ্রহ। এই উপগ্রহ আধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও যুদ্ধবিমানকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

নির্দিষ্ট কক্ষপথে সফলভাবেই উপগ্রহটি প্রতিস্থাপিত হয়েছে। বুধবার বিকেল ৪টে ১০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের  শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে জিএসএলভি-এফ১১ রকেটে চড়ে মহাকাশে পাড়ি দেয় ২২৫০ কেজির এই কমিউনিকেশন স্যাটেলাইটটি। আয়ু ৮ বছর। এই উপগ্রহটি ভারতের মহাকাশ গবেষণায় বড় ঘটনা সন্দেহ নেই। এই উপগ্রহটি কিউ-ব্যান্ডের যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রদান করবে ভারতের বায়ুসেনাকে।

এই উপগ্রহটির মাধ্যমে ভারতীয় বায়ুসেনা আগামী দিনে তার বিভিন্ন গ্রাউন্ড রাডার সিস্টেমের সংযোগ সাধন করতে পারবে। উপগ্রহটি বায়ুসেনার শক্তি এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেবে।

মাঝ আকাশে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে যুদ্ধবিমান। বিভিন্ন এয়ার বেসগুলির সঙ্গেও সহজে যোগাযোগ রাখতে সমর্থ হবে বায়ুসেনা। আকাশ পথে আগাম সতর্কতা ও নিয়ন্ত্রণ বিমানকে যোগাযোগ করতেও সক্ষম হবে।

 ইসরো জানিয়েছে, আকাশ থেকে আকাশ ও আকাশ থেকে ভূমি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এই উপগ্রহ। যুদ্ধবিমান থেকে সংকেত সংগ্রহের পর উপগ্রহ তা প্রেরণ করবে আর একটি যুদ্ধবিমান অথবা সেনা স্টেশনে। এছাড়াও নজরদারির কাজে এটি ব্যবহৃত হবে। ভারতীয় বায়ুসেনার মানববিহীন বিমান ও ড্রোনগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করবে এই উপগ্রহ।

উপগ্রহটি তৈরিতে খরচ পড়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। এতে রয়েছে চারটি সোলার প্যানেল। যাতে উত্‍পন্ন হবে ৩.৩ কিলোওয়াট বিদ্যুত্‍।

বর্তমানে ভারতীয় সেনার জন্য মহাকাশে কাজ করছে ১৩টি সামরিক উপগ্রহ। এবার যোগ হচ্ছে জিস্যাট-৭এ উপগ্রহটি।

GSAT-7A ইসরোর ৩৫তম যোগাযোগ উপগ্রহ। সফল উত্ক্ষেপণের পর ইসরোর চেয়ারম্যান কে সিবান বলেন,''গত ৩৫ দিনে এটি তৃতীয় যোগাযোগ উপগ্রহ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে এতে। ২০১৮ সালের শুরুর মতো শেষটাও দারুণ হল''।

সেনার শক্তি বৃদ্ধিতে আরও ছয় থেকে সাতটি এমন শক্তিশালী সামরিক উপগ্রহ নির্মাণের কথা ভাবছে ইসরো। আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই সেগুলিকে পাঠানো হবে মহাকাশে।




জিএসএলভি-এফ১১ থেকে উত্‍ক্ষেপণ করা হয়েছে। উত্‍ক্ষেপণের পর উপরাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইড়ু পর্যন্ত টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছেন।


২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে জিস্যাট-৭ স্যাটেলাইট উত্‍ক্ষেপণ করা হয়। এই দুটির পাশাপাশি জিস্যাট-৬ ও একসঙ্গে মিলে কাজ করবে।



Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment