কিশোরীর গোপনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো ডলে চলত অত্যাচার, হাড় হিম করা নির্যাতন



অনেকদিন ধরে কমিশনের কাছে খবর ছিল। হঠাত্‍ করেই দ্বারকার এই হোমে হানা দেয় মহিলা কমিশন। তারপরই সেই হাড় হিম করা অত্যাচারের কাহিনি প্রকাশ্যে চলে আসে।

৬ থেকে ১৫ বছর বয়সী ২২ জন নাবালিকা ও কিশোরীরা এই হোমে থাকে।  তাঁদের দিয়ে বাসন মাজা, ঘর পরিষ্কার করা, জামা-কাপড় কাচা, রান্নার কাজ করানো তো হতই। কাজে একটু অন্যথা হলেই জুটত প্রহার। একবার অবাধ্য হলে তো আর উপায়ই নেই। সে অত্যাচারের কাহিনি অবর্ণনীয়।

এমন এমন শাস্তির বিধান হত, যা শুনতে আঁতকে উঠতে হয়। আবাসিকরাই সেই অত্যাচারের কাহিনি তুলে ধরেছে মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে।

যদি একবার অবাধ্য হত কেউ, তার মুখে জোর করে ঢুকিয়ে দেওয়া হত লঙ্কার গুঁড়ো, কখনও কখনও যৌনাঙ্গেও লঙ্কার গুঁড়ো ছড়িয়ে দেওয়া হত। হোমে কিশোরীর গোপনাঙ্গে লঙ্কাগুঁড়ো ডলে চলত অত্যাচার। দিল্লির মহিলা কমিশন এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ এনে দ্বারকা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরা এই কাজের সঙ্গে যুক্ত।

দিল্লি মহিলা কমিশনের প্রধান স্বাতী মালিওয়ালের নেতৃত্বে আট জনের একটি প্রতিনিধি দল গিয়েছিল ওই হোম পরিদর্শনে। তাঁরা হোমের মেয়েদের অভিযোগ রেকর্ড করেছেন। হোম কর্তৃপক্ষ ও হোমের আধিকারিক-কর্মীদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করেছে মহিলা কমিশন। দিল্লি পুলিশও এই ঘটনায় চটজলদি তদন্তে নামে। ওই হোমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। এই ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে।

দ্বারকার ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আন্তো আলফান্সো জানান, আমরা অভিযোগটি খতিয়ে দেখছি। পকসো আইন ও জুভেনাইল আইনে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

সংস্থার কর্মীদের বিরুদ্ধে বাড়ির সদস্যদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গায়ের জোর দেখিয়ে নির্যাতন চালাচ্ছে। ঘরের এক কিশোরীর অভিযোগ, জোর করে তাদের দিয়ে বাথরুম পরিষ্কার ও রান্না করানোর অভিযোগ ছিল তাদের।  গরম ও শীতের ছুটিতেও তাদের বাড়িও যেতে দেয় না।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment