হরিদেবপুরে নয়া মোড়, সদ্যোজাতের ভ্রূণ নয়, প্লাস্টিকে ছিল মেডিক্যাল বর্জ্য



হরিদেবপুরে পরিত্যক্ত জমি থেকে ভ্রূণ সন্দেহে উদ্ধার হওয়া ১৪টি  প্যাকেটগুলিতে মেলেনি কোনও ভ্রূণ । ৭২ কাঠা ফাঁকা জমি পরিষ্কারের সময় প্যাকেটগুলি উদ্ধার হয়েছিল। খবর ছড়িয়েছিল সেই প্যাকেটগুলিতে রয়েছে সদ্যোজাতের দেহ।

আজ, রবিবার সন্ধ্যায় এমআর বাঙুর হাসপাতালে খোলা হয় উদ্ধার হওয়ার ১৪টি প্যাকেট। কিন্তু, প্যাকেটে মানুষের দেহাংশের কোনও সন্ধান মেলেনি বলে জানিয়ে দিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্যাকেট থেকে কোনও ভ্রূণ জাতীয় কিছুই পাওয়া যায়নি। মিলেছে 'মেডিক্যাল বর্জ্য'।

যদিও, এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পর মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ ডিসি সাউথ-ওয়েস্ট নীলাঞ্জন বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমে ভ্রূণ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান। প্রশাসনের দুই শীর্ষ কর্তার মন্তব্য সরাসরি সম্প্রচারও করতে থাকে বাংলার একাধিক প্রথম শ্রেণির বৈদ্যুতিন মাধ্যম। কিন্তু, সন্ধ্যা নামতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। পুলিশকর্তা নিজেই সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের বার্তা পাঠিয়ে দাবি করেন, হরিদেবপুর কাণ্ডে শেষ পর্যন্ত কিছুই মেলেনি। এদিন বিকেলে মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় নিজে হরিদেবপুরে ১৪টি শিশুর দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানান।

এর নেপথ্যে যে ধোঁয়াশা রয়েছে তা ক্রমশ স্পষ্ট হতে শুরু করেছে। কারণ প্লাস্টিকের প্যাকেটগুলি যখন উদ্ধার হয় তখন সেগুলি খুলে দেখেনি পুলিস অথবা মেয়র কেউই। কেবল মাত্র সাফাইকর্মীদের তথ্যের উপর ভিত্তি করেই খবরটি হয়।

হরিদেবপুরের ঘটনায় ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। একইসঙ্গে গোটা ঘটনাটি পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়ে রাজা রামমোহন সরণিতে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির নেতা-কর্মীরা।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment