ঘটনাটি উত্তরপ্রদেশের সম্বলের। প্রথমে জোর করে নিকাহ হালালায় শ্বশুরকে বিয়ে করতে বাধ্য করা। তারপর বন্ধ ঘরে শ্বশুরের কাছে ধর্ষণের শিকার। ধর্ষণের জেরে পরবর্তীকালে তিনি সন্তানসম্ভাবা হন । শ্বশুরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ আনলেন এক মহিলা।
পুলিশের কাছে পাঁচ জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নির্যাতিতা মহিলা।
মোরাদাবাদের ওই মহিলার অভিযোগ, ২০১৪ সালে বৈরিলিতে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের একবছরের মধ্যে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালে শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতনের অভিযোগ আনেন তিনি। কিন্তু সেই বছর দুই বাড়ি নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসে। ছেলের বাড়ি ওই মহিলাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয়।
এরপরই দুঃস্বপ্নের শুরু। স্বামী, শ্বশুর সহ দুই মৌলবীর দাবি ওই মহিলাকে নিকাহ হালালা করতে হবে। কারণ সে দীর্ঘদিন স্বামীর কাছ থেকে দূরে ছিল। যা ডিভোর্সের সমতুল্য।
তাই তাকে নিকাহ হালালা করতে হবে। ওই মহিলার দাবি, তিনি এর বিরোধিতা করেন। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির চাপে শ্বশুরকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। বিয়ের পরে তাঁকে একটি ঘরে তালাবন্দি করে রাখা হয়। অভিযোগ, এরপরই শ্বশুর ওই মহিলাকে ধর্ষণ করে। পরের দিন সকালে তালাক দেওয়া হয় তাঁকে।
এ দিকে ধর্ষণের জেরে পরবর্তীকালে তিনি সন্তানসম্ভাবা হন। গত বছর একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন তিনি। নিজের দুর্দশার কথা জানিয়ে ওই মহিলা জানান, জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান।
তারপরেই স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির কাছ থেকে খুনের হুমকি পেতে শুরু করেন। সম্প্রতি পুলিশ এফআইআর দায়ের করে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই মহিলার স্বামী, শ্বশুর, এক কাকু ও দুই মৌলবীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ আনা হয়েছে।

0 comments:
Post a Comment