শ্মশানেই উঠে বসলেন মৃত মহিলা, ভূতের ভয়ে শ্মশানে দৌড়াদৌড়ি



শ্মশানেই উঠে বসলেন মৃত মহিলা। শনিবারের চাঞ্চল্যকর এই ঘটনায় হুগলির ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে হুলস্থুল। ঘটনার কথা কানাঘুসো হতেই বহু মানুষ শ্মশান ঘাটে ভিড় করেন। খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে শ্মশানযাত্রীদের হাতে আক্রান্ত হন সাংবাদিকরাও।

ত্রিবেণীর বৈকুণ্ঠপুরের বাসিন্দা রেণুকা পাল। সপ্তাহখানেক ধরে কলকাতার একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভরতি ছিলেন। শনিবার সকালে কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। দুপুর ১টা নাগাদ রেণুকা পালের দেহ নিয়ে আসা হয় ত্রিবেণী শ্মশান ঘাটে। আগে কয়েকটি দেহ থাকায়, সঙ্গে সঙ্গেই চুল্লিতে ঢোকানো যায়নি রেণুকা পালের দেহ। অপেক্ষা করতে থাকেন রেণুকা পালের পরিজনরা। কিন্তু তারপরই ঘটে অবাক কাণ্ড।  হঠাত্‍ই শ্মশানঘাটে উপস্থিত সবাই দেখেন, 'বেঁচে উঠেছে' রেণুকা পালের দেহ! সটান উঠে বসে পড়েছে!

এদৃশ্য দেখার পরই অনেকেই ভয় পেয়ে যান। ভরদুপুরে ভূতের ভয়ে শ্মশানে দৌড়াদৌড়িও শুরু করে দেন কেউ কেউ। ভয়ে দৌড়ে পালাতে থাকেন ওখানে উপস্থিত লোকজন। এদিকে রেণুকা পালের পরিজনরা ভাবেন, কোনও মিরাক্যল ঘটেছে বুঝি! তড়িঘড়ি তাঁরা রেণুকা পালের হাত, পা ঘষা শুরু করে দেন। এমনকি ফের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য অ্যাম্বুল্যান্সও ডাকা হয়। কিন্তু একটু পরেই আবার নেতিয়ে পড়ে দেহটি। আর কোনও সাড়া শব্দ পাওয়া যায় না ওই মহিলার। তাঁর পরিজনরা ধরে নেন মহিলা মারা গিয়েছেন। তারপরই সেটি চুল্লিতে ঢোকানো হয়।

স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলা যখন কিছুক্ষণের জন্য উঠে বসলেন, হয়তো মহিলা কোমায় চলে গিয়েছেন যা সাধারণ মানুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়। তাঁকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কোনও হাসপাতালে নিয়ে না গিয়ে কীভাবে মহিলার পরিজনেরা তাঁকে মৃত বলে ধরে নিলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি।

 'ভূতুড়ে' কাণ্ডের খবর পেয়ে সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তাঁদের উপর চড়াও হন শ্মশানযাত্রীরা। ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ছবি মুছে দেওয়া হয়। গণ্ডগোল মিটতে দাহ করে বাড়ি ফিরে যান পরিজনেরা।
Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment