সিকিমের প্রথম বিমানবন্দর, উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, সিকিমে সেঞ্চুরি



সিকিমের প্রথম বিমানবন্দরের উদ্বোধন হল সোমবার।  আর সেইসঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে এই পাহাড়ি রাজ্যের আকাশে ওড়ার স্বপ্নও পূরণ হল। পাকিয়ংয়ে এই বিমানবন্দরের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  গ্যাংটক শহর থেকে যার দূরত্ব ৩০ কিলোমিটার।

৬০৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে এই বিমানবন্দর তৈরি করতে। সমুদ্রস্পৃষ্ট থেকে ৪,৫০০ ফুট উঁচুতে একটা হিল-টপে পাকইয়ং বিমানবন্দর। এতদিন সিকিমের মানুষের সবচেয়ে কাছের বিমানবন্দর ছিল বাগডোগরা। যার দূরত্ব ১২৪ কিলোমিটার।

'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে ২৩ সেপ্টেম্বর এই বিমানবন্দরের কথা উল্লেখ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর ফলে সিকিমের সঙ্গে দেশের বাকি অংশের যোগাযোগ আরও সহজ ও সুগম হল বলেই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে টুইটে নতুন বিমানবন্দরের কিছু ছবি শেয়ার করা হয়। সিকিম যাওয়ায় পথে সেখানকার পার্বত্য এলাকার ছবি টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী।



গ্যাংটকের লিবিং হেলিপ্যাডে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী পবনকুমার চামলিং। গ্যাংটক শহর থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ের গায়ে তৈরি হয়েছে পাকিয়ং বিমানবন্দর। সিকিমের বিমানবন্দরটি ভারতের শততম বিমানবন্দর।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, '‌ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়রা সেঞ্চুরি করে। এবার সিকিমে আমরা সেঞ্চুরি করলাম। দেশের শততম বিমানবন্দর এটি। এই বিমানবন্দরের মাধ্যমে অনেক সহজেই পৌঁছানো যাবে সিকিম। আগামী ১-২ সপ্তাহের মধ্যেই এখান থেকে গুয়াহাটি আর কলকাতার বিমান চালু হবে। কয়েক বছরের মধ্যে বিদেশের সঙ্গেও সিকিমকে আকাশপথে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হবে। আমাদের ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকদের কর্মদক্ষতার অন্যতম নিদর্শন এটি। এজন্য আমি তাঁদের সকলকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।'‌

গতকাল কেন্দ্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল উন্নয়নমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং বলেন, '‌ইন্দো-চীন সীমান্ত থেকে ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পাকিয়ং বিমানবন্দর। দেশের সুরক্ষার ক্ষেত্রে এটি বড় ভূমিকা নেবে। টেক অফ ও ল্যান্ডিংয়ের জন্য এই বিমানবন্দর ব্যবহার করতে পারবে ভারতীয় বায়ুসেনাও।'‌

এই বিমানবন্দরটি তৈরি হওয়ায় আকাশপথে সিকিমের সঙ্গে যোগাযোগ সহজ হবে। রাজ্যের পর্যটন ও আর্থিক বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এই বিমানবন্দর।

ইন্দো-চিন সীমান্ত থেকে এই বিমানবন্দরের দূরত্ব ৬০ কিলোমিটার। এই বিমানবন্দরের জন্য চিনের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যায় ভারত কৌশলগতভাবে সুবিধা পাবে বলেও মনে করছেন প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা। ২০১ একর জমির উপরে তৈরি এই বিমানবন্দরের রানওয়ে লম্বায় ১.৭৫ কিলোমিটার। চওড়া ৩০ মিটার।

এই বিমানবন্দরের ফলে কলকাতাবাসীদের গ্যাংটক যাওয়ার সফর-এর আরও সুবিধা হল।

এতদিন এই সব পর্যটকদের কাছে সিকিম যাত্রা মানে ছিল নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছে গাড়ি নিয়ে গ্যাংটক যাত্রা। এতে সময়ও বেশি লাগে। সেইসঙ্গে খরচাও বেশ। অথচ প্রায় একই খরচে মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই কলকাতা থেকে এবার সিকিম পৌঁছে যেতে পারবেন পর্যটকরা।

Share on Google Plus
JanaSoftR

0 comments:

Post a Comment