স্কুলে প্রয়োজন বাংলা শিক্ষক, তাই স্কুলে বাংলার শিক্ষক চেয়েছিল ছাত্ররা। কিন্তু জোর করে দেওয়া হয়েছে নিস্প্রয়োজন উর্দু মাধ্যমের শিক্ষক।
এরই প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বাংলা শিক্ষকের দাবিতে ১৮ পথ অবরোধ করেছিল বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। সেখান থেকেই বিপত্তি বাঁধে, গুলি চলে। মৃত্যু হয়েছে দু'জন ছাত্রের।
আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। এই পরিস্থিতিতে লেখিকা তসলিমা নাসরিন বলেন, এই ঘটনা ঠিক যেন ভাষা আন্দোলন।
তিনি টুইট করে বলেছেন, স্বাধীনতা যখন আসে, সঙ্গে করে নিয়ে আসে দেশভাগ। ভারতবর্ষ সেদিন ভেঙে দ্বিখণ্ডিত হয়। হিন্দুস্তান আর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তান।
পাকিস্তানের বেশিরভাগ মানুষই উর্দুভাষী। তাই পাকিস্তানে সেদিন রাষ্ট্রভাষা হিসেবে জোর করে বাছা হয়েছিল উর্দুকে। কিন্তু বাঙালিরা তা মানেনি। তাদের মার্তৃভাষা বাংলা। তাই বাংলা ছেড়ে পররাষ্ট্রের ভাষাকে নিজেদের রাষ্ট্রভাষা মানতে রাজি হয়নি তারা।
বাংলাকে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি নিয়ে সেদিন পথে নেমেছিল দেশের যুবসমাজ। প্রতিবাদ মিছিলে অগ্রণী ছিল ছাত্রছাত্রীরা। দেশের ভবিষ্যত্দের সেদিন ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল পুলিশের বুলেট। আজ পশ্চিমবঙ্গের ইসলামপুরেও একই অবস্থা।

0 comments:
Post a Comment